প্রতীকী ছবি।
নেটমাধ্যমে নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে বিতর্ক জারি। এর মধ্যেই ভুয়ো বার্তা ঘিরে আশঙ্কার আবহ তৈরি হল নেটাগরিকদের মধ্য়ে।
নেটমাধ্যমে লেখালেখির উপর নজরদারি চালানোর বিধি কার্যকর করা নিয়ে বুধবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, গোপনীয়তা কেন, নাগরিকদের কোনও মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়। সব অধিকারের উপরেই নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার একটি বার্তা হোয়াটসঅ্যাপ-সহ বিভিন্ন নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তাতে দাবি করা হয়েছে— কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হলেই হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং মেসেজ রেকর্ড করা হবে। ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে—
• হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দু’টি নীল টিক এবং একটি লাল টিকের অর্থ সরকার কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।
• হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তিনটি লাল টিকের অর্থ, সরকার আপনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করেছে।
• ওই বার্তায় দাবি করা হয়েছে, হোয়াসঅ্যাপ এই নয়া নিয়ম চালু করেছে।
• ওই বার্তায় আরও দাবি করা হয়, হোয়াসঅ্যাপের সমস্ত কল এবং মেসেজের উপরেও নজরদারি চালানো হবে। আরও দাবি করা হয়, কেউ যদি সরকার অথবা ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা ছড়ান তা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
যদিও শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, ওই বার্তা ভুয়ো। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই বার্তা শেয়ার না করার পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা। মেসেজে লাল বা নীল টিক দেওয়ার মতো কোনও নতুন নিয়ম হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেনি বলেও জানা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো তথ্য অন্যের হাতে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও সংস্থাটির সূত্রে আরও এক বার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরেই ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়ে হোয়াসঅ্যাসে যে, কোনও মেসেজে লাল টিক মানে তাতে সরকার নজর রাখছে। যদিও সে সময় কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।