‘মোদী কেয়ার’কে অস্ত্র করতে চাইছে বিজেপি

পোশাকি নাম ‘আয়ুষ্মান ভারত’। ডাকনাম ‘মোদী কেয়ার’। এই প্রকল্পের অধীনে এই প্রথম চিকিৎসার খরচ বহন করল সরকার। মেয়ে করিশ্মার জন্মের সব খরচ জোগাল হরিয়ানার অমিত ও তাঁর স্ত্রী মৌসমীকে। অভিভূত মৌসমী বললেন, ‘‘খুব ভাল প্রকল্প। সরকার সব খরচ দিচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৫
Share:

চাল কলে মজদুরি করে মাসের শেষে ৭-৮ হাজার টাকা ঘরে ওঠে। তিন বছর আগে ছেলের জন্মের সময় ধারদেনা করতে হয়েছিল অমিত কুমারকে। কিন্তু মেয়ের জন্মের সময় পুরো টাকাটাই দিল সরকার।

Advertisement

পোশাকি নাম ‘আয়ুষ্মান ভারত’। ডাকনাম ‘মোদী কেয়ার’। এই প্রকল্পের অধীনে এই প্রথম চিকিৎসার খরচ বহন করল সরকার। মেয়ে করিশ্মার জন্মের সব খরচ জোগাল হরিয়ানার অমিত ও তাঁর স্ত্রী মৌসমীকে। অভিভূত মৌসমী বললেন, ‘‘খুব ভাল প্রকল্প। সরকার সব খরচ দিচ্ছে।’’

নরেন্দ্র মোদী ঠিক এটাই চাইছেন। সদ্যোজাত মেয়েকে ঘরে এনে বাবা-মা যত না খুশি, তার থেকেও চওড়া হাসি বিজেপি নেতাদের। ভোটের অঙ্ক দেখছেন তাঁরা। তাই চলতি মাসেই গোটা দেশে ‘মোদী কেয়ার’ প্রকল্প নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মতিথি থেকে গোটা দেশে শুরু হবে ‘মোদী কেয়ার’ প্রকল্প। দেশের ১০ কোটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসা খরচ দেওয়া হবে। অর্থাৎ, প্রায় ৫০ কোটির ভোটব্যাঙ্ক। তার আগেই পাইলট প্রকল্পের অধীনে বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানা এমন খরচ জোগাতে শুরু করেছে। বিজেপি সূত্রের মতে, ২৫ সেপ্টেম্বরের এক সপ্তাহ আগেই দেশের কুড়ি হাজার জায়গা বেছে নিয়েছেন অমিত শাহ। সেখানে প্রচার হবে ‘মোদী কেয়ার’-এর। মূলত গ্রাম ও শহরের বস্তি এলাকাগুলিতে।

সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ১০ কোটি পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। করনালের যে কল্পনা চাওলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে করিশ্মার জন্ম হয়েছে, সেখানকার নির্দেশক সুরেন্দ্র কাশ্যপ আজ বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের সুফল কারা পাবেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে সেই তালিকায় নাম থাকলে যখনই কোনও রোগী ভর্তি হবেন, তখনই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’’

এর আগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেগুলি সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। প্রথম বার গ্যাস নিয়েও পরে আর তা কিনতে না পারার অভিযোগও এসেছে বিস্তর। সে ক্ষেত্রে ভোটের আগে নিখরচায় চিকিৎসার সুবিধার প্রচার শুধু সেই পরিবারই নয়, আশপাশেও সদর্থক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে বিজেপি।

কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও না কোনও প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন, এমন ২২ কোটি পরিবারের নাম-ধাম সম্বলিত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অমিত শাহ দলের যুবমোর্চাকে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই ২২ কোটি পরিবারে পৌঁছতে। বিজেপির অঙ্ক, একজোট বিরোধীরা যখন মোদীকে হারাতে তৎপর, তখন ২২ কোটি পরিবারের একটি অংশ ভোট দিলেই উতরে যাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement