শাহিন বাগকে কেন্দ্র করে বিভাজনের হাওয়া তৈরি হতে শুরু করেছে দিল্লিতে। অলংকরণ: শৌভিক দেবনাথ।
দু’দলই চাইছিল ঘরের মাঠে খেলতে। রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবায় তাঁর কাজের খতিয়ান দিয়ে নিজের মাঠ সাজাচ্ছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু, সে মাঠে নেমে মোদীর কাজের হিসেব তুলে ধরে কেজরীবালকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়ার ঝুঁকি বিজেপি একেবারেই নিতে চাইল না। গোড়া থেকেই সিএএ-এনআরসি ইস্যু, শাহিন বাগের বিরোধিতা আর মেরুকরণের গেরুয়া মাঠে খেলা টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাল সে শিবির। বিজেপির সে চেষ্টাকে শুরুতে কেজরীবাল পাত্তাই দিচ্ছিলেন না। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহে শাহিন বাগ-তর্ক এমন তুঙ্গে উঠল যে, নিজের মাঠ ছেড়ে বেরতেই হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
দেড় মাস ধরে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলছে দিল্লির শাহিন বাগে। বিজেপির বিরুদ্ধে থাকা প্রায় সব দলই শাহিন বাগের এই লাগাতার অবস্থানের সমর্থক। কিন্তু দিল্লির মাটিতে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও আম আদমি পার্টি (আপ) ভোটের প্রচারে বাঁচিয়ে চলছিল শাহিন বাগের ছোঁয়াচ। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বা আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহরা শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের পক্ষে ইতিউতি মুখ খুলছিলেন ঠিকই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল ওই প্রসঙ্গ প্রায় মুখেই আনছিলেন না। দিল্লির ভোটে তিনি যেন লড়ছিলেন দিল্লির মেয়র হিসেবে। নিখরচায় বিদ্যুৎ আর পানীয় জলের ব্যবস্থা, মহল্লা ক্লিনিক খুলে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ দেওয়া, সরকারি স্কুলের সংখ্যাবৃদ্ধি, সরকারি বাসে মহিলাদের নিখরচায় সফরের ব্যবস্থা করা, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো এবং বাসে মার্শাল নিয়োগ করা— যে কোনও সভায় এই সব কথাই বলছিলেন কেজরীবাল। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ বা অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেস যে ভাবে আপাতত সিএএ-কেই মূল ইস্যু করে তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে, কেজরীবাল সে পথে হাঁটতেই চাইছিলেন না।
শাহিন বাগ চত্বরে জমায়েত। ছবি: পিটিআই।
কেন চাইছিলেন না? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমত, কেজরীবাল এই ভোটে নিজেকে মোদী-শাহের প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে একেবারেই চাইছিলেন না। মোদী-শাহের সঙ্গে নয়, তাঁর লড়াই মনোজ তিওয়ারি বা বিজয় গোয়েলের মতো দিল্লি বিজেপির নেতাদের সঙ্গে— এই আবহই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করতে চাইছিলেন বলে পর্যবেক্ষকদের মত। তাই জাতীয় ইস্যুর ধারেপাশে না গিয়ে স্থানীয় ইস্যুর ভিত্তিতেই ভোট লড়তে নেমেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ত, কেজরীবাল এ কথা ভালই জানেন যে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে যে পথে হাঁটা সম্ভব, দিল্লিতে আপের পক্ষে সে পথ নেওয়া সহজ নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশের আশেপাশে মুসলিম ভোট। দিল্লিতে তা ১৩ শতাংশের মতো। সুতরাং সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে সুর তুঙ্গে তুলে হিন্দু ভোটারদের অসন্তুষ্ট করলে বিপদ হতে পারে বলে যে তাঁর আশঙ্কা, সে কথা কেজরী ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিক বার বলেছেন।
অতএব, সিএএ-এনআরসি, শাহিন বাগ বা মোদী-শাহকে তীব্র আক্রমণের রাস্তায় না হাঁটার কৌশল নেওয়াই শ্রেয়। স্থির করে নিয়েছিলেন কেজরীবাল।
দিল্লির রাস্তায় ভোটপ্রচারে কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই।
কেজরীবালের এই কৌশল যে কাজে আসেনি, তা কিন্তু নয়। ভোট প্রচারের শুরুর দিকটায় শাহিন বাগকে তিনি ইস্যুই হয়ে উঠতে দেননি এই কৌশল কাজে লাগিয়ে। কিন্তু লাগাতার অবস্থানটার বয়স এক মাস পেরনোর পর থেকে ছবি ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে। এক দিকে অমিত শাহ, জে পি নড্ডাদের মতো বিজেপির সর্বোচ্চ নেতারা শাহিন বাগ নিয়ে সুর তুঙ্গে তুলতে শুরু করেছেন, কেজরীবালের বিরুদ্ধে শাহিন বাগে বিক্ষোভ জিইয়ে রাখার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। কেজরীবাল কেন কোনও কথা বলছেন না শাহিন বাগ প্রসঙ্গে, সেই প্রশ্ন বার বার তুলতে শুরু করেছেন। আর অন্য দিকে শাহিন বাগের আন্দোলনকে কংগ্রেস পূর্ণ সমর্থন দিতে শুরু করেছে। সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে দিল্লির বুকে সবচেয়ে অনেক বেশি আগ্রাসী ভঙ্গিতে কংগ্রেসই ময়দানে নেমেছে। ফলে কেজরীবালের অবস্থা কিছুটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শাঁখের করাতে পড়ার মতো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ বলছেন, গত দু’সপ্তাহে শাহিন বাগকে কেন্দ্র করে বিভাজনের হাওয়া তৈরি হতে শুরু করেছে দিল্লিতে। সেই হাওয়াই কেজরীবালকে বাধ্য করছে শাহিন বাগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে।
সপ্তাহখানেক ধরে শাহিন বাগ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সুর তুঙ্গে তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। জনসভায় দাঁড়িয়ে খোদ অমিত শাহ আহ্বান জানিয়েছেন— ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটযন্ত্রের বোতাম এমন ভাবে টিপুন যাতে ‘কারেন্ট’ লাগে সোজা শাহিন বাগে গিয়ে। তার পর থেকেই বিজেপির একের পর এক সর্বভারতীয় নেতা তথা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা শাহিন বাগ প্রসঙ্গ টেনে বার বার আঙুল তুলতে শুরু করেছেন কেজরীবালের দিকে। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা থেকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র থেকে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর— সবার নিশানায় এখন শাহিন বাগ। এবং প্রত্যেকেই দাবি করছেন— শুধু ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে শাহিন বাগে বিক্ষোভ জিইয়ে রাখছেন কেজরীবাল। আর যে বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শাহিন বাগ পড়ে, সেই ওখলার আপ বিধায়ক আমানতুল্লা খানই যে এই বিক্ষোভের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, সে অভিযোগ তো বিজেপি প্রথম দিন থেকেই করছে।
শাহ-নড্ডাদের এই চড়া সুর শোনার পর থেকে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বা সাংসদ প্রবেশ বর্মা বা এ বারের নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম প্রার্থী কপিল মিশ্রদের মতো তরুণ নেতারা আরও বেলাগাম হয়েছেন। কেউ দেশের ‘গদ্দার’দের চিহ্নিত করে গুলি করার নিদান দিচ্ছেন। কেউ বিজেপি-আপ লড়াইকে হিন্দুস্তান-পাকিস্তান লড়াই হিসেবে তুলে ধরছেন। কেউ আবার বলছেন, আপ জিতলে গোটা দিল্লিতে আরও অনেক শাহিন বাগ তৈরি হয়ে যাবে এবং সেই বিক্ষোভকারীরা ঘরে ঘরে ঢুকে মহিলাদের উপরে অত্যাচার চালাবে।
অমিত শাহ মুখ খুলতেই শাহিন বাগ নিয়ে সরব দলের অন্য নেতারা। ছবি: পিটিআই।
সপ্তাহখানেক ধরে বিজেপি নেতাদের এই লাগাতার বেলাগাম বচন তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অনুরাগ, প্রবেশ, কপিলদের বিরুদ্ধে কমিশন পদক্ষেপও করেছে, প্রচারে তাঁদের অংশগ্রহণের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বিজেপি দমছে না। কারণ এই তুমুল হইচইয়ের জেরে কিছুটা হলেও পিছনে চলে গিয়েছে কেজরীবালের ইস্যুগুলো। শাহিন বাগ বিতর্ক চলে এসেছে সামনের সারিতে। বিজেপির লক্ষ্য এটাই ছিল, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যে ভাবে বার বার শাহিন বাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং দেড় মাস ধরে রাস্তা বন্ধ থাকার দায় আপ সরকারের উপরে চাপাচ্ছেন, তার কোনও উত্তর না দেওয়া কেজরীর পক্ষে কঠিন। কারণ তাতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের রুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দিল্লিবাসী রাজনৈতিক বিশ্লেষক মানিনী চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘শাহিন বাগের বিক্ষোভে ছাত্ররা যোগ দিচ্ছেন, অনেক বিশিষ্ট লোকজন যোগ দিচ্ছেন। সবই ঠিক। কিন্তু জমায়েতটা মূলত মুসলিমদেরই। তাই এটা নিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের একটা মৃদু হাওয়া ছিলই। ভোট যত কাছে আসছে, বিজেপি সেই মৃদু হাওয়াটাকে তত তীব্র করে তোলার চেষ্টা করছে।’’
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে শাহিন বাগে যে ভাবে আটকে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তাতে দিল্লিবাসীর একাংশের মধ্যে ‘বিরক্তি’ তৈরি হওয়ার আভাসও মিলছে। নয়ডা-দিল্লি-গুরুগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ মসৃণ রাখে যে সড়ক, দেড় মাস ধরে সেই সড়কই আটকে থাকায় বহু মানুষ অসুবিধায় পড়ছেন, নিত্য ট্র্যাফিক জ্যাম লেগে থাকছে। কর্পোরেট এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য শুধু নয়, চিকিৎসার জন্যও এখন নয়ডা-গুরুগ্রাম এলাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং শুধু কর্মস্থলে যাওয়া লোকজনের ক্ষেত্রে নয়, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
মানিনী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কর্মস্থলে পৌঁছতে রোজ সবার কতটা অতিরিক্ত সময় লাগছে, রোজ কতটা আগে বাড়ি থেকে বেরতে হচ্ছে, তার জেরে মানুষের বিরক্তি কী ভাবে বাড়ছে— সে সব কথা এখন প্রায় প্রতিদিনই কানে আসছে। দু’সপ্তাহ আগেও এমনটা ছিল না। কিন্তু বিক্ষোভটা কবে উঠবে বোঝা যাচ্ছে না। ফলে অনেকেই ধৈর্য হারাচ্ছেন।’’
অর্থাৎ বিভাজনের ক্ষেত্র তৈরিই ছিল। দেড় মাস ধরে রাস্তা বন্ধ থাকার জেরে দিল্লিবাসীদের একাংশের ভোগান্তিও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার জেরে তৈরি হওয়া ‘বিরক্তি’ এবং ‘ধৈর্যচ্যুতি’ আরও বাড়িয়ে তুলছে বিভাজনকে।
অতএব শাহিন বাগে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়ার পক্ষে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সওয়াল করতেই হচ্ছে। না হলে তাঁর উপরে দায় চাপানো আরও সহজ হবে বিজেপির পক্ষে।
আরও পড়ুন: আয়কর কমিয়েও অর্থমন্ত্রী তুলে নিলেন অধিকাংশ করছাড়
কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাহিন বাগের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টাটাও খুব সন্তর্পণে করতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ শাহিন বাগের আন্দোলন থেকে দেশজোড়া সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ, জামিয়া কাণ্ড থেকে জেএনইউ হামলা— সব বিষয় নিয়েই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। ওই সব ইস্যুতে প্রায় রোজ বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করছেন রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীরা। সুতরাং শাহিন বাগের সঙ্গে খুব বেশি দূরত্ব তৈরি করতেও কেজরীবাল দ্বিধান্বিত। কারণ তাতে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসের দিকে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। আর তেমনটা ঘটলেই বিজেপি আরও সুবিধা পেয়ে যাবে।
অতএব এ বারের ভোটের খেলা নরমে-গরমে খেলতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। গত পাঁচ বছরে কী কী কাজ করেছে তাঁর সরকার, এখনও মূলত তার উপরেই ‘ফোকাস’ রাখতে চাইছেন কেজরী। কিন্তু বিজেপির ‘মেরুকরণের চেষ্টা’ ব্যর্থ করতে শাহিন বাগের সঙ্গে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন। আবার মুসলিম ভোট কংগ্রেসে যাওয়া ঠেকাতে সিএএ-বিরোধিতা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতেও পারছেন না।
পাঁচ বছরের কাজকেই হাতিয়ার করেছেন কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই।
আপের অন্দরেও এই দ্বিধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খবর। আপ কর্মীদের অনেকেরই সিএএ বা এনআরসি নিয়ে তেমন উদ্বেগ নেই। অনেকে বরং সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই বলছেন যে, সিএএ-এনআরসি নিয়ে আপত্তি নেই। কেজরীর কৌশলে আস্থা রেখে আপ সরকারের পাঁচ বছরের কাজ নিয়েই দিল্লিবাসীর দরজায় দরজায় যেতে চাইছেন আপের ওই কর্মীরা। কিন্তু দলের আর একটি অংশ সিএএ-এনআরসির বিরোধিতার প্রশ্নে চুপ থাকা বা ওই আইনকে সমর্থন করার তীব্র বিরোধিতা করছে। সিএএ-এনআরসির বিরোধিতা জোরদার ভাবে করা আপের কর্তব্য বলে তাঁরা মনে করছেন। অতএব ঘরের ভিতরে এই দ্বিধাদ্বন্দ্বকে সঙ্গী করেই এগোতে হচ্ছে অরবিন্দ কেজরীবালকে।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু মেলার থিম: শক্তি সংবিধানই
মেরুকরণ যদি রুখতে পারেন কেজরীবাল, তা হলে আরও পাঁচ বছরের জন্য দিল্লির নিয়ন্ত্রণ হাতে পেতে কোনও অসুবিধা হবে না আপের— বলছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু যে কৌশলে মেরুকরণের হাওয়াকে দমিয়ে রেখে দিয়েছিলেন কেজরী, শাহিন বাগ বিতর্ককে সামনের সারিতে এনে, সেই কৌশলকেই ভোঁতা করে দিতে বিজেপি এখন মরিয়া।