চিনা পণ্যের গুণমানে নজরদারি কেন্দ্রের। ছবি: পিটিআই।
নিম্নমানের চিনা পণ্যের লাগামছাড়া আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নয়া কৌশল নিচ্ছে কেন্দ্র। এই লক্ষ্যে ৩৭০টি পণ্যের মান নির্ধারণের নয়া মাপকাঠি স্থির করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আমদানির ক্ষেত্রে ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকেই ভারতীয় মানদণ্ড (ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা আইএস) অনুযায়ী ওই পণ্যগুলির গুণমান বাধ্যতামূলক করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রক এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস)-এর তরফে চিহ্নিত করা পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, কাগজ, খেলনা, কাচ ও রবারের জিনিস, নানা ধরনের ভারী যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, ইস্পাত, ধাতব পাইপ ইত্যাদি। নয়া নির্দেশিকার কোথাও চিন বা অন্য কোনও দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে তালিকা থেকে স্পষ্ট, ওই ৩৭০ ধরনের পণ্যের অধিকাংশরই মূল রফতানিকারক চিন।
বিআইএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল প্রমোদকুমার তিওয়ারি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘নিম্নমানের পণ্য আমদানি ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। তালিকাভুক্ত ৩৭০টি দ্রব্যের মধ্যে চিনা পণ্যও রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তিনটি সরকারি বন্দর— কান্দলা, জেএনপিটি (মুম্বই) এবং কোচিনে এই কাজের জন্য আমাদের অফিসারদের পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা শুল্ক দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবেন।’’ কেন্দ্রীয় ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান পণ্যের মান নির্ণয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিআইএস-এর দু’টি ওয়েবসাইটও চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা সঙ্কট সামনে রেখে নেপাল, আফগানিস্তানকে নিয়ে নয়া অক্ষ চিনের
বাণিজ্যমন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আমদানিকৃত পণ্যের মান নিশ্চিত করার এই উদ্যোগ গত বছর থেকেই শুরু হয়েছিল। তবে পণ্যের তালিকা তৈরির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগানটি বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে পণ্য রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা সফল করার দিকটিতে। ৩৭০টি পণ্যের অধিকাংশেরই মান নির্ণয়ের বিষয় সংক্রান্ত মাপকাঠি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।
আরও পড়ুন: লাহৌরে গুরুদ্বারকে মসজিদে রূপান্তরিত করার চেষ্টা, পাক হাইকমিশনে প্রতিবাদ জানাল ভারত
বিআইএস-এর একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু আমদানি ক্ষেত্র নয় ‘ওয়ান নেশন ওয়ান স্ট্যান্ডার্ড’ নীতি মেনে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও মান নির্ধারণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্র ও বাজারগুলিতে নজরদারি পাঁচগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।