ভি কে শশিকলা। পাশে তাঁর গাড়িতে এআইএডিএমকের পতাকা। ছবি : টুইটার থেকে।
দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ৪ বছর হল। তার পরও শশিকলার গাড়িতে এআইএডিএমকে-র পতাকা কেন? রবিবার এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করল ভোটমুখী তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই হাসপাতালে যেতে হয়েছিল এআইডিএমকে-র বহিষ্কৃত নেত্রী ও একদা জয়ললিতা ঘনিষ্ঠ ভি কে শশিকলাকে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। রবিবার ছুটি পেলেন। তবে হাসপাতাল থেকে যে গাড়িতে রওনা হলেন, সেই গাড়ির সামনে লাগানো এআইএডিএমকের পতাকা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছ, তবে কি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার দলে ফেরার চেষ্টা করবেন শশিকলা?
এআইএডিএমকে থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আগে এক সময়ে দলে আড়াল থেকে দাপট চলত তাঁরই। জয়ললিতার মৃত্যুর পরও তাঁকেই দলের সাধারণ সচিব হিসেবে নির্বাচন করা হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটি মহল বলছে, ডিএমকে-র মুখোমুখি হতে হলে শশিকলার মতো মুখ দরকার এআইএডিএমকে-র।
অবশ্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী কিছুদিন আগে এ ব্যাপারে নেতিবাচক জবাবই দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে। জবাবে পালানিস্বামী বলেন, ‘‘আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে, শশিকলার দলে ফেরার কোনও সুযোগ নেই। শশিকলাকে দলে নেওয়া হয়েছিল আম্মার (জয়ললিতার)মৃত্যুর পর। আম্মা নিজেও ওঁকে দল থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন।’’ এমনকি শশিকলাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার লাগানোর জন্য বৃহস্পতিবার দল থেক বহিষ্কার করা হয় এআইএডিএমকের এক কর্মী সুব্রহ্মণ্যম রাজাকে।
শশিকলা আপাতত বেঙ্গালুরুতেই থাকবেন। চিকিৎসকরা তাঁকে সাবধানতার জন্য আরও কিছুদিন নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নিভৃতবাসের মেয়াদ শেষ হলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে ফিরবেন শশিকলা। তার পরই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল শশিকলার। রবিবার তাঁঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘করোনায় আক্রান্ত হলেও শশিকলা ছিলেন উপসর্গহীন। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।’’
হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র মামলায় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দোষী সাব্যস্ত হন শশিকলা। গত বুধবার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।