—প্রতীকী চিত্র।
অসমে উপনির্বাচনের মুখে বিরোধী জোটের মধ্যেই বড়সড় সঙ্কটে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি-ত্যাগী জয়ন্ত বরাকে বিহালি আসনটির টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ এনেছে বিরোধী জোট। জয়ন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন বিহালির টিকিট পাওয়ার পরে। বিরোধী ১৫টি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অসম সম্মিলিত মোর্চা থেকে বাদ দেওয়া হবে কংগ্রেসকে। বিরোধী জোটের কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘‘আমি বিশ বছর কংগ্রেসে ছিলাম। কংগ্রেসের রীতিই হল ২০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে ভোটের খরচ তোলা।’’
বিহালিতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের শরিক সিপিআই (এমএল)-এর প্রার্থী বিবেক দাসকে কংগ্রেসের সমর্থন না জানানো থেকেই অসমে বিরোধী জোটে ভাঙন ধরে এবং এআইসিসিকে এ ব্যাপারে রাজি করাতে না পেরে জোটের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা। পরে বামেরা বিবেক দাসের বদলে লক্ষ্মীকান্ত কুর্মিকে প্রার্থী করলেও কংগ্রেস সমর্থন না দিয়ে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে জয়ন্ত বরার নাম ঘোষণা করে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে ভূপেন বরা গোষ্ঠী এবং গৌরব গগৈ ও বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন প্রকট।
আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই লক্ষ্মীকান্ত কুর্মির হয়ে প্রচার শুরু করে দেন বিরোধী জোটের নেতারা। অসম সম্মিলিত মোর্চার সভাপতি অজিতকুমার ভুঁইয়া ও অজাপ সভাপতি তথা জোটের সাধারণ সম্পাদক লুরিণজ্যোতি গগৈ বলেন, ‘‘কংগ্রেস বিরোধী ঐক্য বিনষ্ট করতে যে কাজ করল, তা চরম বিশ্বাসঘাতকতা। তার শিক্ষা কংগ্রেস পাবে। বিহালিতে কংগ্রেস ও বিজেপির দুই প্রার্থীই হিমন্তবিশ্ব শর্মার লোক। আমরা কংগ্রেসকে ছাড়াই এগোব।’’
এই পরিস্থিতিতেও ভূপেন জোট বাঁচাতে সচেষ্ট। তিনি দাবি করেন, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে বিহালি আসনে বিরোধী ঐক্য মঞ্চের সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে বিবেক দাসকেই মনোনীত করা হবে। আর এ বার জিতলেও জয়ন্ত বরার পক্ষে বিহালি থেকে ২০২৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না, কারণ বিধানসভায় আসন পুনর্বিন্যাসের পরে ওই আসনটি তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। কিন্তু জোট যে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিতে নারাজ! ভূপেনের বক্তব্য, ‘‘উপনির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছুটা তিক্ততা থাকলেও আমরা একসঙ্গে লড়ব। লুরিনজ্যোতি গগৈকে বিরোধী ঐক্য ফোরামের শিকড় শক্ত করে ধরে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’’