স্কুলগুলিতে প্রতি দিন গড়ে ২০ জন পড়ুয়া আসে। প্রতীকী ছবি।
স্কুল আছে। তবে পড়ুয়া নেই! এমন তথ্যই ওঠে হিমাচল প্রদেশের শিক্ষা সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই রাজ্যে ৬ হাজারেরও বেশি স্কুলে প্রতি দিন কুড়ি জনেরও কম পড়ুয়া আসে। সদ্য ভোট শেষ হওয়া হিমাচল প্রদেশের শিক্ষার হাল কি তবে তলানিতে ঠেকেছে, উঠছে এমন প্রশ্নও।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হিমাচলে বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলে ভর্তির হার অনেক বেশি। রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার সরকারি স্কুল রয়েছে। তবে সেখানে পড়ুয়া সংখ্যা অনেক কম। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই স্কুলগুলিতে প্রতি দিন গড়ে ২০ জন পড়ুয়া আসে কি না সন্দেহ! কোনও কোনও স্কুলে সংখ্যাটা ৬০। কোথাও দশেরও কম।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এমনিতেই হিমাচল জুড়ে রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প চালু আছে। তার নাম, ‘হর ঘর পাঠশালা’। কিন্তু সেই প্রকল্প যে খুব একটা কার্যকরী নয়, এই রিপোর্টে তা স্পষ্ট। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাও অপ্রতুল। অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে এক জন করে শিক্ষক রয়েছেন। রাজ্যে এমন স্কুলও রয়েছে, যেখানে এক জনও শিক্ষক নেই। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাড়াও স্কুলের পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। যেমন, অনেক জায়গাতেই ভাল ক্লাসরুম নেই, যেখানে বসে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দেড় কিলোমিটার অন্তর একটি করে প্রাথমিক স্কুল থাকা বাধ্যতামুলক। স্কুল থাকলেও সেখানে পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থা মোটেই ভাল নয়।
তবে এ সবের বাইরে পড়ুয়াদের স্কুলে না আসার অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা জানা যায়নি। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘হর ঘর পাঠশালা’ প্রকল্প চালু থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে সদ্য প্রকাশিত ওই রিপোর্টে তার কোনও ছাপ পাওয়া যায়নি।