বেত্তিয়ার ওষুধের দোকানের সেই ঘটনা। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
তিনি বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাই। ঢোকার পর তাঁকে দেখে চেয়ার ছেড়ে কেন উঠে দাঁড়াবেন না ওষুধের দোকানের কর্মী? উঠে দাঁড়াতে বললে কোন সাহসে তিনি অস্বীকার করেন? ফলে, রেগে আগুন প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাই। ভিতরে ঢুকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করলেন ওষুধের দোকানের কেমিস্টকে। প্রথমে সপাটে চড় মারলেন একের পর এক। তার পর কলার ধরে টেনে ওই কেমিস্টকে দোকান থেকে বের করে এনে তুললেন গাড়িতে।
গত ৩ জুন এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের বেত্তিয়ায়। দোকানের সিসিটিভিতে তোলা ছিল গোটা ঘটনার ফুটেজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যেতেই কটাক্ষ, সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রেণু দেবীর ভাই পিনু বেত্তিয়ায় একটি ওষুধের দোকানে ঢুকে চেয়ারে বসে থাকা কেমিস্টকে উঠে দাঁড়াতে বলছেন, তাঁকে সম্মান দেখানোর জন্য। ওই কেমিস্ট তখন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে অস্বীকার করেন। তার পরেই তাঁকে উত্তমমধ্যম দিতে শুরু করেন পিনু। দোকানের অন্য কর্মীরা এসে বাঁচাতে যান কেমিস্টকে। দোকানের বাইরেও ভিড় জমতে শুরু করে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।
পিনুর দিদি, বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের সম্পর্ক নেই দীর্ঘ দিন। বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আমি সমর্থন করি না। পিনুর সঙ্গে বহু দিন সম্পর্ক নেই আমার। কথাও বলি না। তবু এই ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে। যদি কেউ ভুল করে থাকেন, তিনি শাস্তি পাবেন। আমি দোষ করলে আমারও শাস্তি হওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন- সারদার লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভ কোথায়? ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি রাজীব কুমার
আরও পড়ুন- মহিলাদের সঙ্গে ‘দুষ্কর্ম’ করতেন সম্রাট আকবর, দাবি বিজেপি নেতার
বেত্তিয়ার এক পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কান্ত বলেছেন, ‘‘পিনুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই কেমিস্টের পরিবারের লোকজনের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চার চাকার যে গাড়িতে করে ওই কেমিস্টকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটি আটক করা হয়েছে।’’