OROP

এক পদ এক পেনশনে দেরি হওয়ায় আত্মহত্যা প্রাক্তন সেনাকর্মীর

বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন সত্তরোর্ধ এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। বুধবার সকালে নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে আত্মহত্যা করেন তিনি। হরিয়ানার বাসিন্দা ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর নাম রাম কিষাণ গ্রেওয়াল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:০৫
Share:

আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনা।

বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন সত্তরোর্ধ এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। বুধবার সকালে নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে আত্মহত্যা করেন তিনি। হরিয়ানার বাসিন্দা ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর নাম রাম কিষাণ গ্রেওয়াল। তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদ এক পেনশন প্রকল্প চালু হতে দেরি হওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

অথচ দু’দিন আগেই হিমাচল প্রদেশে গিয়ে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, ‘এক পদ, এক পেনশন’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য প্রথম কিস্তির ৫,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বারের দীপাবলি সেনা জওয়ানদের উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। জওয়ানদের বীরত্ব ও বলিদানের প্রশংসাও করেন তিনি।

অথচ সেই দাবির দু’দিনের মধ্যেই গ্রেওয়ালের আত্মহত্যার ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে গ্রেওয়াল তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে দিল্লি এসেছিলেন। তাঁর সতীর্থদের মতে, এক পদ এক পেনশন প্রকল্প চালু না হওয়ায় বেশ কিছু দিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

এই ঘটনার পরেই সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কেন্দ্রের ব্যর্থতার দাবি তুলে তিনি মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। টুইটে লেখেন, ‘ভীষণ দুঃখের। সীমান্তে দাঁড়িয়ে সেনা বাইরের শত্রুর সঙ্গে লড়ছে। আর নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে লড়ছে ভেতরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বেরনোর পরেই এ দিন বিকেলে তিনি হরিয়ানা গ্রেওয়ালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।

এ দিন দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মৃতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। কিন্তু, তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি জানান, প্রাক্তন সেনা কর্মীর এই ভাবে মৃত্যু এবং তার পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর কথায়, ‘‘এই হচ্ছে মোদীজির ভারত, যেখানে প্রাক্তন সেনাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না।’’

আরও পড়ুন: কমতে পারে সিগারেটের দাম, চিন্তায় ডাক্তাররা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement