ভেসে যায় গুরুগ্রামের রাজপথ। ছবি: পিটিআই।
বহিরঙ্গের চাকচিক্যে নজর দেওয়ার রীতি এখন মোটের উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অন্তরঙ্গে দৃষ্টি না দিলে কী ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়, তা গুড়গাঁও ওরফে গুরুগ্রাম প্রমাণ করল নিজেদের অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্য দিয়ে।
ঢাকঢোল পিটিয়ে নাম পাল্টে অতীত ভারতের নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন করতেই যেন গুড়গাঁও একদিন হয়ে গেল গুরুগ্রাম। বাজনা এই প্রসঙ্গে বেশিই বাজল যে হেতু খাজনাদানকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যে তত নজর দেওয়ার দরকার মনে করলেন না কর্তারা। অতএব মাত্রাতিরিক্ত বর্ষণে ডুবে গেল এলাকা, ১৫-১৭ কিলোমিটার লম্বা যানজট হল, স্কুল বন্ধ হয়ে গেল, এক দিনে সম্পূর্ণত বিপর্যস্ত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় দেশের অন্যতম মুখ গুড়গাঁও। প্রধান মুখ বেঙ্গালুরুও তখন একই দুরবস্থায়। ডুবে গেল বন্যায়।
ন্যাপনচোপনে নজর পড়ছে বেশি। নামে-রঙে-আলোয়-ঢাকে-ঢোলে যত সময় যাচ্ছে, পরিষেবায় তত নজর পড়ছে কি? গুরুগ্রাম-বেঙ্গালুরু নতুন পাঠ শেখাক এই দেশের শহরগুলোকে। নাব্যতাহীন নদী আর সংস্কারহীন খাল বিলের মাঝে থাকা এই কলকাতাও যেন স্কুলছুট না হয়।