—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক সমস্ত প্রবীণ নাগরিককে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের মুখে আজ এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাজনীতিকদের মতে, কেন্দ্রের নজরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, দিল্লির বিধানসভা ভোটও। কেন্দ্র জানিয়েছে, পরিবারের ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধে দেওয়া হবে। প্রায় সাড়ে চার কোটি পরিবারের ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক এর আওতায় আসবেন। প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ৩,৪৩৭ কোটি টাকা।
এখন জনসংখ্যার দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ পরিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধে পেয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি বাদে বাকি সব রাজ্যই মোদী সরকারের এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছে। সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই প্রকল্প গরিব মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্তরাও এই বিমা প্রকল্পে নাম লেখাতে পারবেন। যে সব পরিবার ইতিমধ্যেই আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় রয়েছে, সেই পরিবারের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বছরে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসার সুবিধা থাকবে। পরিবারে একাধিক সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ মানুষ থাকলে সকলের জন্য মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ মিলবে। যে সব পরিবার আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকেরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। অবসরপ্রাপ্ত রেল, প্রতিরক্ষা বা অন্য সরকারি কর্মীরা তাঁদের জন্য চালু সিজিএইচএসের মতো স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প ছেড়ে এই প্রকল্পের সুবিধে নিতে পারবেন। ইএসআই বা বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকা প্রবীণরাও বাড়তি সুবিধে হিসেবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে চিকিৎসা খরচ নিতে পারেন। কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে। বয়স্ক নাগরিকদের এতে আবেদন করার অনুরোধ করছি।’’
রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে আজ মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় প্রত্যন্ততম গ্রামগুলিকে পাকা রাস্তার মাধ্যমে যুক্ত করতে ৭০,১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০২৯-এর মধ্যে ২৫ হাজার নতুন গ্রামকে যুক্ত করতে ৬২,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তৈরি হবে ৪০ কোটি কর্মদিবস। ৩১,৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সংলগ্ন রাস্তা, সড়ক, বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থা, রোপওয়ে, রেলের সাইডিং, যোগাযোগ পরিকাঠামো তৈরি করতে ১২,৪৬১ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। চাষিদের জন্য নিখুঁত আবহাওয়ার পূর্বাভাস করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ‘মিশন মৌসম’ প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে।