কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশ সরকারের ‘রোষে’ এভারেস্টজয়ী তরুণী। ফাইল চিত্র।
এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করার পর মধ্যপ্রদেশের ২৮ বছরের তরুণী মেঘা পারমারকে সে রাজ্যের ‘অন্যতম মুখ’ বলে সম্মানিত করেছিল রাজ্য সরকার। মধ্যপ্রদেশের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের প্রচারদূত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গত ৯ মে ওই তরুণী কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে রাজ্যের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও অভিহিত করেন। তার পরের দিনই তাঁকে সরিয়ে প্রচারদূতের পদ থেকে সরিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
শুধু তা-ই নয়, বুধবার মধ্যপ্রদেশের দুগ্ধ সমবায় সংস্থা ‘সাঁচী’-র প্রচারদূতের পদ থেকেও সরানো হয়েছে পারমারকে। ২০২২ সালের অগস্ট মাস থেকে তিন বছরের চুক্তিকে এই পদের দায়িত্ব দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। এভারেস্টজয়ীর অভিযোগ, কোনও রকম কারণ না দেখিয়েই, তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার।
মেঘার পরিবারও দুগ্ধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের জেলা সেহোর-এর বাসিন্দা তিনি। অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ খুলে মেঘা বলেন, “আমার বাবা এক জন কৃষক। আমি ছোট থেকেই বাবাকে সাহায্য করি। আমায় সরকারের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যাতে আমি সকল দুগ্ধ ব্যবসায়ীকে রাজ্যের সমবায়ে দুধ দেওয়ার আবেদন জানাই। সে কাজে আমি সফলও হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎই আমায় সরিয়ে দেওয়া হল।’’ এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র নেহা বাগ্গার মন্তব্য, “মেঘা স্বেচ্ছায় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আমরা আমাদের সামাজিক প্রকল্পগুলিতে আমাদের আদর্শগুলোরও রূপায়ণ ঘটাই। উনি আলাদা মতাদর্শের হয়ে কী ভাবে তার সঙ্গে একাত্ম হবেন?” ২০১৯ সালে এভারেস্ট জয় করেছিলেন মেঘা। তাঁর এই অপসারণ নিয়ে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি।