কাশ্মীর। ছবি: পিটিআই
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর তিন মাস হতে চলল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার বার উঠে আসা সেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন কেমন, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার উপত্যকায় যাচ্ছে ইউরোপীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা।
ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে ২৮ জনের ওই প্রতিনিধি দলটি। সোমবার তাঁদের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। তার পর মঙ্গলবার কাশ্মীরে যাবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। গত ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে উপত্যকায়। আপাতত ল্যান্ডলাইন ও পোস্টপেড টেলি যোগাযোগ সচল হলেও, এখনও উপত্যকার কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। প্রতিনিধি দলটির কাশ্মীর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা টুইটে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ডোভাল।
কিছু দিন আগেই, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে ব্যবহার করে কাশ্মীরে ‘দমন-পীড়ন’ চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও, উপত্যকায় দমন-পীড়নের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীরের কিছু এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন এক দল বিদ্বজ্জনও। অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকার মিথ্যা বলছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে ‘সত্যি কথা’ না লিখতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে এ দিন মা মেহবুবা মুফতির টুইটার হ্যান্ডল থেকে ফের বোমা ফাটান ইলতিজা। লেখেন, ‘আশা করা যায়, তারা (ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল) সাধারণ মানুষ, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, চিকিৎসক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। গোটা দুনিয়া ও কাশ্মীরের মধ্যে থাকা লোহার পর্দা উঠে যাওয়া প্রয়োজন। জম্মু-কাশ্মীরকে অস্থির পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে সরকারকে।’
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার অপারেশন বাগদাদি শেষ সুড়ঙ্গের প্রান্তে, কীভাবে চলল মার্কিন সেনার অভিযান
আরও পড়ুন: ‘যত খুশি সন্তানের জন্ম দিন’, বদরুদ্দিনের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অংশ। তার বর্তমান ৭৫১ জন। ইউরোপেরই বিভিন্ন অংশ থেকে তাঁরা নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক স্তরে মানবাধিকার রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন-সহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকেন তাঁরা।