গ্রেটা থুনবার্গ। —ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং (জেইই-মেন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউজি) পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে এ বার শামিল হলেন আন্তর্জাতিক পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর মতে, নোভেল করোনাভাইরাস এবং বন্যার কবলে লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন জর্জরিত, সেইসময় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনৈতিক।
পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, করোনা আবহে জেইই-মেন এবং নিট-ইউজি পরীক্ষার বিরোধিতা করছেন অনেকেই। চলতি মাসের মাঝামাঝি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত পৌঁছয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। তার মধ্যেই মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সরব হন কিশোরী গ্রেটা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘কোভিড-১৯-এর জেরে উদ্ভুত অতিমারি এবং ভয়াবহ বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যেই ভারতে পড়ুয়াদের জাতীয় পরীক্ষায় বসতে বলা অনৈতিক। জেইই এবং নিট স্থগিত রাখার যে দাবি উঠছে, আমি তা সমর্থন করছি।’’
আরও পড়ুন: কোথায় মোদীর বাবার চায়ের দোকান? তথ্য নেই পশ্চিম রেলের কাছে
আরও পড়ুন: প্রশান্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গেল নতুন বেঞ্চে
দেশে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার আগে, এপ্রিলেই জেইই-মেন এবং নিট-ইউজি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। লকডাউনের জেরে তা পিছিয়ে প্রথমে জুলাই করা হয়। পরে তা আরও পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেইই-মেন পরীক্ষা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর নেওয়া হবে নিট পরীক্ষা।
কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। বিরোধী শিবির তো বটেই, বিজেপির অন্দরেও পরীক্ষা পিছনোর দাবি উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। জেইই-মেন এবং নিট-ইউজি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত কয়েক দিন নাগাড়ে টুইট করে চলেছেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত যেন পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য না-করা হয় বলে অনুরোধ জানিয়েছেন।