জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে মসৃণ পাকা রাস্তা। সেই রাস্তা ধরেই ৪০ জন যাত্রীকে নিয়ে ছুটছিল বাস। একের পর এক বাঁক কাটিয়ে এগোচ্ছিল বাসটি। পরের বাঁক ঘুরতেই জোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেলেন চালক। বাসের ভিতরে যাত্রীদের মধ্যে তখন রব উঠল ‘কী হল, কী হল!’
চালকের চোখ তখন স্থির। জানলা দিয়ে নজর বাইরে পড়তেই ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। বাসের ব্রেক কষার আওয়াজ পেতেই সেটি লক্ষ্য করে তখন ছুটে আসে ক্রুদ্ধ দাঁতাল। বিপদ বুঝে চালক ধীরে ধীরে বাসটি পিছোতে থাকেন। কয়েক হাত পিছিয়ে গিয়ে আবার বাস থামিয়ে দেন তিনি। ভেবেছিলেন, হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে যাবে।
কিন্তু না, চালকের সেই ভাবনা ভুল ছিল। জঙ্গলে না ঢুকে সেটি আবারও তেড়ে আসে বাসটির দিকে। তখন বাসের ভিতরে ভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে গিয়েছিল। চালক তাঁদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কোলাহলে পরিস্থিতি আরও বিগড়াতে পারে, এই আশঙ্কা করে তিনি ফের বাসটিকে পিছোতে শুরু করেন।
হাতিটিও বাসিটিকে অনুসরণ করতে থাকে। এ ভাবে বাসটিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পিছিয়ে নিয়ে যান চালক। তার পর দাঁতালটি রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন যাত্রীরা। ঘটনাটি কেরলের ত্রিশূরের বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।
চালাকুড়ি-ভালাপারাই রাস্তা দিয়ে বাসটি যাওয়ার সময় হাতির মুখোমুখি হয়েছিল। বাসটিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পিছোতে বাধ্য করে হাতিটি। হাতির হামলা থেকে ৪০ জন যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচানোর জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন চালকও।