প্রতীকী ছবি।
ঠিক যেন বলিউডি সিনেমা! প্রেমিকাকে সুটকেসে ভরে কলেজের হস্টেলে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন কর্নাটকের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। রাতের অন্ধকারে যাতে কেউ টের না পায় তাই অভিনব উপায় বার করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না। নিরাপত্তারক্ষীরও সন্দেহ হবে না যে ওটার মধ্যে কোনও মানুষ রয়েছে। ফলে সহজেই গেট পেরিয়ে হস্টেলে ঢোকা যাবে। কিন্তু শেষমেশ তাঁর সব চেষ্টাই বৃথা গেল।
এত রাতে ট্রলিব্যাগ নিয়ে কোথা ফেরা হচ্ছে শুনি? কড়া সুরে প্রশ্নটা করেছিলেন হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী। পাল্টা উত্তর এল, এতে বেশ কিছু জিনিস আছে। অনলাইনে অর্ডার দেওয়া ছিল। সেগুলি নিয়েই ফিরছি। নিরাপত্তারক্ষীর একটু খটকা লাগে ওই পড়ুয়ার উত্তর শুনে। ব্যাগে কী আছে তা দেখাতে বলেন তিনি। কিন্তু ছাত্র কিছুতেই রাজি হননি। গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে, এমনটা বলেই বরং কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীও নাছোড়। শেষমেশ চাপে পড়ে ট্রলিব্যাগের চেনটা খুলতেই চমকে ওঠেন নিরাপত্তারক্ষী। জিনিস কোথায়? এ তো আস্ত একটি মেয়ে! ধরা পড়ে তখন থরথর করে কাঁপছিলেন তরুণী। আমতা আমতা করছিলেন পড়ুয়াও। তিনি জানান, তাঁরা এক সঙ্গে কলেজে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেন।