নিহত হিজবুল কমান্ডার সইফুল্লা মির ওরফে গাজি হায়দর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। রবিবার বিকেলে রাজধানী শ্রীনগর লাগোয়া রাংগরেথ এলাকায় রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা মির ওরফে গাজি হায়দর।
পুলিশের দাবি, আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে এখনও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। সেখান থেকেই গুলি চালাচ্ছে তারা। বাড়িটি ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় সূত্রের খবর, আহত এক জঙ্গি ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। অন্ধকারের সুযোগে জঙ্গিরা যাতে পালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা ঘিরে অভিযানের জন্য আনা হচ্ছে বাড়তি বাহিনী।
গত মে মাসে পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান রিয়াজ নাইকুর মৃত্যু হয়। তার পরেই উপত্যকায় সংগঠনের দায়িত্ব পায় সইফুল্লা। পুলওয়ামা জেলার মালঙ্গপোরা এলাকার বাসিন্দা সইফুল্লা ২০১৪ সালে হিজবুলে যোগ দিয়েছিল। অচিরেই সে উপত্যকায় হিজবুলের তৎকালীন শীর্ষ নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সংগঠনের অন্দরে সইফুল্লা পরিচিত ছিল ‘ডক্টর সাব’ নামে। ২০১৬ সালে বুরহান সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হওয়ার পর উপত্যকায় ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘অপারেশন’ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিল নাইকু।
আরও পড়ুন: সেনাকে দুর্বল করতে চাইছে বিরোধীরা, মোদীর ‘অস্ত্রে’ই ভরসা ইমরানের
পুলিশ জানিয়েছে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এ দিন বিকেলে রংগরেথ এলাকায় তল্লাশি অভিযান হয়। সইফুল্লা-সহ জনা চারেক জঙ্গি যে বাড়িতে লুকিয়েছিল যৌথবাহিনী সেটি ঘিরে ফেলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘সূত্র মারফত খবর এসেছিল আবাসিক এলাকার ওই বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে হ্যান্ডমাইকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় জঙ্গিদের। কিন্তু তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলিতেই জবাব দেন আমাদের জওয়ানেরা।’’
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল তামিলনাড়ুর কৃষিমন্ত্রীর
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে ডিজি দিলবাগ সিংহ বলেন, ‘‘অভিনন্দন। রিয়াজ নাইকুর পর দায়িত্ব নেওয়া শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার সফিউল্লা শ্রীনগরে এনকাউন্টারে নিহত।’’ দু’দিন আগে উপত্যকায় তিন বিজেপি নেতাকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনার পিছনে এই সফিউল্লার হাত ছিল বলে জানিয়েছেন ডিজি দিলবাগ।