প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে ব্যবসায় মন্দা। তাই কর্মচারীর মাইনে কমিয়েছিলেন দিল্লির এক ডেয়ারি ফার্মের মালিক। সে জন্য কর্মচারীর হাতে খুন হতে হল তাঁকে। এই খুনের দায়ে ২১ বছরের ওই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৪৫ বছরের ওম প্রকাশের একটি ডেয়ারি ফার্ম ছিল। ওম প্রকাশের গৃহস্থালীর কাজ করতেন তসলিম। ২১ বছরের তসলিম উত্তরপ্রদেশের শামলির বাসিন্দা। তাঁর মাসিক বেতন ছিল ১৫ হাজার টাকা।
করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে ওম প্রকাশের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছিল। সে জন্য তসলিমকে কম বেতন দিয়েছিলেন তিনি। এর জেরে কথা কাটাকাটি হয় দু’জনের। তখন ওম প্রকাশ তাঁকে চড় মেরেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তসলিম।
তাতেই রেগে গিয়ে ওম প্রকাশকে খুন করেছেন বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন তসলিম। তিনি জানিয়েছেন, ওম প্রকাশ যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখন লাঠি দিয়ে তিনি তাঁর মাথায় মারেন ও গলা কেটে দেন। তার পর বস্তায় করে সেই দেহ নিকটবর্তী কুয়োতে ফেলে দেন। ওম প্রকাশের বাড়ির লোককে তসলিম বলেন, ব্যবসার কাজে বাইরে গিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তসলিম।
গত ১২ অগস্ট ওম প্রকাশ নিখোঁজ বলে পুলিশকে জানান তাঁর ভাইপো। পুলিশকে জানানো হয়, তসলিমের সঙ্গেই শেষ বার দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: কোথায় মোদীর বাবার চায়ের দোকান? তথ্য নেই পশ্চিম রেলের কাছে
তার পর তসলিমের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তার খোঁজে চলে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীরা কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে খবর দেন পুলিশকে। উদ্ধার হয় ওম প্রকাশের দেহ ও দায়ের হয় মামলা।
উত্তরপ্রদেশে তসলিমের বাড়িতে খোঁজ করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। রবিবার দিল্লির ঝারোদা কালান এলাকায় তসলিমকে দেখা গিয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেখানে ফাঁদ পেতে তসলিমকে গ্রেফতার করা হয়। তসলিমের কাছ থেকে ওম প্রকাশের কিছু জিনিসও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি