vaccines

নিয়ম মেনেই সম্মতি, টিকা নিয়ে ফের অভয় কেন্দ্রের

কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক তৈরির সঙ্গে যুক্ত আইসিএমআর-এর প্রধান  এ-ও বলেন, ‘‘কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রয়োগ শেষের পরে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, প্রতিষেধকপ্রাপ্তদের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সবই ঠিকঠাক রয়েছে। কোথাও কোনও ত্রুটি নেই।

Advertisement

ছাড়পত্র পাওয়া দুই টিকা সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র আজ জানাল, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক পর্যায়ে সুরক্ষা ও কার্যকারিতা প্রশ্নে ইতিবাচক তথ্যের ভিত্তিতেই দুই সংস্থার টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড প্রতিষেধক ও হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থার কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধককে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু ভারতে দু’িট প্রতিষেধকেরই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্বের গবেষণা এখনও চালু রয়েছে। ফলে কোন যুক্তিতে প্রতিষেধক দু’টিকে ছাড়পত্র দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষকদের একাংশও। আজ সে সব অভিযোগের জবাবে মুখ খোলে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সংস্থার ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘কোভিশিল্ড ব্রিটেনে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ করেছে। প্রতিষেধক সে দেশে ৭০.৪ শতাংশ কার্যকর বলে পাওয়া গিয়েছে। ভারতে তৃতীয় পর্যায়ে ১৬০০ জনের দেহে কোভিশিল্ড প্রয়োগ করা হয়েছে। তৃতীয় পর্বের প্রাথমিক অন্তর্বর্তী রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ড নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম। তথ্যের বিচারে বলা যায়, ভারতে যে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে, তা কোনও অংশে কম নয়।’’

Advertisement

কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক তৈরির সঙ্গে যুক্ত আইসিএমআর-এর প্রধান এ-ও বলেন, ‘‘কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রয়োগ শেষের পরে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, প্রতিষেধকপ্রাপ্তদের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যা তিন মাস পরেও সক্রিয় থাকছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নগণ্য। বায়োটেক সংস্থা তৃতীয় দফায় ২৫,৮০০ ব্যক্তির উপরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নথিভুক্ত হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষেধক প্রয়োগের পরে কোনও সমস্যা কারও দেখা যায়নি।’’

কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পাওয়ার পরে অভিযোগ উঠেছিল, তাদের গবেষণা আন্তর্জাতিক জার্নালে ছাপা হয়নি। ভার্গব বলেন, ‘‘কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের প্রয়োগ যখন প্রাণী-দেহে চলছিল, সেলপ্রেস, নেচার কমিউনিকেশনে ওই গবেষণা সংক্রান্ত প্রবন্ধ ছাপা হয়। মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম পর্বের গবেষণার ভিত্তিতে প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে ল্যানসেটে। দ্বিতীয় পর্বের প্রবন্ধ ল্যানসেটে পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে।’’ আইসিএমআরের মতো সরকারি সংস্থা জড়িত বলেই নিয়ম না মেনে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। জবাবে ২০১৯ সালের নিউ ড্রাগ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আইনের সংশোধনী উল্লেখ করে ভার্গব বলেন, ‘‘এতে বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী অসুখের ক্ষেত্রে মানবদেহে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কার্যকারিতার প্রশ্নে উল্লেখযোগ্য ভাবে সফল হলে ওষুধ বা প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার বিষয়ে অবশ্যই ভাবতে পারেন কর্তৃপক্ষ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement