কেকে খেয়ে মুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন। ছবি: ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর ফেসবুক পেজ
ডাল আর আনাজ দিয়ে তৈরি কেক। সাজানো ফলের টুকরো দিয়ে। যার জন্য তৈরি, সে-ও খেল চেটেপুটে, তৃপ্তি করে। খাওয়ার সঙ্গে কেকের টুকরো ছড়িয়েও পড়ল চারপাশে। কারণ শুঁড় দিয়ে খাবলে খেতে গেলে কিছু তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বেই। সে ভাবেই কেক খেল রাজু। তার বন্দিদশা থেকে মুক্তির বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে বানানো হয়েছিল বিশেষ কেক।
রাজু হাতির বয়স ৫৫ বছর। জীবনের প্রথম ৫০ বছর তার কেটেছে ভিক্ষা করে। উত্তরপ্রদেশের পথে পথে ঘুরত সে। সঙ্গে মালিক। শুঁড় বাড়িয়ে ভিক্ষা নিত। তার পর সেটা সে দিয়ে দিত মালিকের হাতে। কাজে ভুল হলে প্রাপ্য ছিল প্রহার। তার শরীরে সেই ক্ষত দগদগ করছে এখনও। রাজুকে উদ্ধার করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে মথুরার একটি পশু উদ্ধারকেন্দ্রে। ভালবাসা, চিকিৎসা আর পুষ্টিকর খাবার দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে শারীরিক কষ্ট লাঘবের।
আরও পড়ুন:সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে উদ্ধার দুই কিশোরী, সংবর্ধনা পুলিশকে
আরও পড়ুন: সভাপতি প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করবেন না সনিয়াও
রাজুর বন্দিদশা থেকে মুক্তির পঞ্চম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হল তাকে কেক খাইয়ে। কেকের উপর বয়স লেখা ছিল না ঠিকই। কিন্তু আখ বেঁকিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ‘৫’ সংখ্যাটি। গত পাঁচ বছরে রাজুর সেরে ওঠার চেষ্টা দেখে অভিভূত কর্তারা। রাজুকে দেখে তাঁরা বন্দিদশা থেকে আরও অনেক হাতিকে মুক্তির আলোয় আনার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত।