গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নির্বাচনী আইন (সংস্কার) বিল। ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ভোটার হিসাবে নাম নথিভুক্তিকরণের সময় আধার কার্ডের নম্বর জানতে চাইতে পারেন রেজিস্ট্রেশন অফিসার। কেন্দ্রের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে ভুয়ো ভোটার আটকানো যাবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে।
সোমবার লোকসভায় এই বিল আনেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এই বিলের মাধ্যমে ১৯৫০-র জন প্রতিনিধিত্ব আইন ও ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে পরিবর্তন করা হবে বলে জানান তিনি। বিরোধীদের দাবি, বিলটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে। সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে রিজিজু বলেন, ‘‘সংশোধনীটি শুধুমাত্র জাল ভোটার রোখার জন্যই আনা হয়েছে। ভোটার-আধার সংযুক্তিকরণ হলেই ভুয়ো ভোটারদের ধরে ফেলা যাবে। সরকার এবং গণতন্ত্রের পক্ষেও এটা ভীষণ ভাবে জরুরি।’’
আধার-ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের কথা বলেছিলেন দেশের প্রাক্তন মুখ্যনির্বাচন কমিশনার এইচএস ব্রাহামা। তিনি দাবি করেছিলেন, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তকরণ করা গেলে ভুয়ো ভোটার সমস্যার সমাধান হতে পারে। ২০১২ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।