বরাকের ১৫টি আসনে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চর্চা শুধুই ফলাফল নিয়ে। ভিতরে ভিতরে ‘টেনশনে’ থাকলেও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এখন অধিকাংশই বিশ্রামে রয়েছেন।
কিন্তু ব্যতিক্রম বোধহয় করিমগঞ্জ জেলা এআইইউডিএফ। খোদ জেলা সভাপতি আব্দুল মালিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ নিয়ে তেতে উঠেছে দলের অন্দর। এমনকী নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে একদিনের জন্যও প্রচারে যাননি বলে অভিযোগ। ভোটের সময় জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠল কেন?
এআইইউডিএফের জন্মলগ্ন থেকেই করিমগঞ্জ জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বদরুদ্দিন আজমলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আব্দুল মালিক চৌধুরী। চৌধুরীর কানিশাইলের বাড়িতে আজমল বহু রাত্রিযাপনও করেছেন। দল-প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বিধানসভা নির্বাচনে পাথারকান্দি কিংবা বদরপুর থেকে টিকিটের চেষ্টা করেছিলেন চৌধুরী। কিন্তু ব্যর্থ হন। সেই সময় থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে জেলা সভাপতির সংঘাতের শুরু। দলের প্রশাসনিক সম্পদক হাফিজ বসির আহমদ কাসিমী করিমগঞ্জ জেলায় দলের কার্যকরী সভাপতি পদে আব্দুল বারিকে নিযুক্ত করেন। এমনকী জেলা সভাপতিকে বিভিন্ন কারণে শো-কজও করা হয়।
দলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ চৌধুরী। বদরপুর আসনে তাঁকে টিকিট না দিয়ে তাঁর ভাগ্নে আব্দুল আজিজকে প্রার্থী করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগ্নের প্রার্থীপদের চরম বিরোধিতা করেন মামা। এমনকী সরাসরি দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতাও করেন। অভিযোগ যায় আজমলের কাছেও।
বরাকে ভোট শেষ হতেই নড়েচড়ে বসেছেন দলের একাংশ। তাঁরা জেলা সভাপতি পদ থেকে চৌধুরীকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। চৌধুরীর পরিবর্তে অগপ-র জেলা সভাপতি আজিজুর রহমান তালুকদারকে সভাপতি করার চিন্তা করছেন দলের নেতারা। অসমে অগপ-বিজেপি জোটের ফলে তালুকদার ইউডিএফ প্রার্থীর পক্ষেই প্রচার করেছেন। বদরুদ্দিন আজমলের সভায়ও প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছেন জেলা অগপ সভাপতি। দলের পক্ষে কাজ করায় এখন তাঁকেই জেলাসভাপতি করতে চাইছেন ইউডিএফ কর্মীরা। এদিকে চৌধুরী দল-বিরোধিতার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘‘দলের জন্ম থেকেই সঙ্গে আছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে মেনে নেব।’’