প্রশ্ন ছিল, গুজরাতে কি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সামনে রেখে নামা উচিত ছিল কংগ্রেসের? তার জবাবেই এল এই উত্তর। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রকাশ্যে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বললেন, ‘‘দুঃখিত এই শব্দটি ব্যবহার করছি বলে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, নির্বাচন প্রক্রিয়া আদ্যোপান্ত একটি রাজনৈতিক বিষয়। কোনও দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়।’’
গুজরাতের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের আসন প্রাপ্তির সংখ্যায় লক্ষ্যণীয় পতন প্রসঙ্গেই এক সাংবাদিকের তরফে ওই প্রশ্নবাণ ধেয়ে এসেছিল জয়রামের দিকে। গত বারের বিধানসভায় ৫৯টি আসন পেতে সমর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। এ বার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭। অন্যদিকে আপ যেখানে গত বারের বিধানসভায় একটি আসনও জেতেনি গুজরাতে, সেখানে এ বছর ৫টি আসন জেতে। আসনসংখ্যা অনেকটাই বাড়ে বিজেপির। এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেসের গুজরাতের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল জয়রামের কাছে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সামনে রাখলে কি কোনও বাড়তি সুবিধা পেত কংগ্রস। এরই জবাবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘এমন হতেই পারত। ভোটের সময় আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকে, কী ভাবে কংগ্রেসকে জেতানো যায়। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের দেশে ভোট একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক দলের মধ্যে লড়াই হয়। রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং নীতির লড়াই হয়। ইস্তাহারের লড়াই, রাজনৈতিক প্রতীকের লড়াই।’’
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়রাম বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস অধিকাংশ সময়েই আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে ভোটে লড়ে না।’’ এ ব্যাপারে পরিসংখ্যান দিয়েই জয়রাম বলেন, ‘‘৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই কংগ্রেস ভোটে লড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেনি। কারণ কংগ্রেস মনে করে নির্বাচন দুই রাজনৈতিক দলের লড়াই, মুখ বা সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা নয়।’’