প্রতীকী ছবি।
এ বার আধারের মতো ভোটার কার্ডও হতে চলেছে ডিজিটাল। আগামিকাল সোমবার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে এই নতুন ই-ভোটার কার্ডের সূচনা করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আধার কার্ডের মতোই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে এই নয়া ভোটার কার্ড। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই নতুন ই-এপিক কার্ডে আংশিক ভোটদান চালু হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
কেমন হবে সেই কার্ড? কমিশন সুত্রে জানা গিয়েছে, ই-এপিকে দু’টি আলাদা কিউআর কোড থাকবে। একটি কোডে ভোটারের নাম, ঠিকানা, বয়স ও ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে। বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর, সিরিয়াল নম্বরের মতো বিষয় থাকবে অন্য কোডে। নথিবদ্ধ মোবাইল থেকে সেই ই-কার্ড ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে এবং সেই ডাউনলোড করা কার্ড দেখিয়েই ভোট দিতে পারবেন বৈধ ভোটাররা।
পোলিং বুথে থাকবে কিউআর কোড স্ক্যানার। বুথে গিয়ে ডাউনলোড করা কার্ডের কোড স্ক্যান করেই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
কমিশন জানিয়েছে, দু’টি ধাপে এই প্রক্রিয়া চালু হবে। আগামিকাল ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন ভোটাররা মোবাইল নম্বর যাচাই করে ভোটার কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপে শুরু হবে পুরনো ভোটারদের ডিজিটাল কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া। নতুন ভোটারদের জন্য আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই ডিজিটাল কার্ডে ভোট দেওয়ার সুবিধা চালু করতে পারে কমিশন।
বর্তমানে বিদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ভোটার কার্ড দেওয়া হয় না। নয়া ভোটার কার্ড চালু হলে তাঁরাও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ভোটার কার্ড। কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কার্ড হারিয়ে যাওয়া, ঠিকানা পরিবর্তন-সহ যাবতীয় পরিবর্তন অনলাইনেই করা যাবে। অনেক সময় আবেদন গ্রাহ্য হলেও ভোটের আগে কার্ড হাতে পান না নতুন ভোটাররা। সে ক্ষেত্রে এই ই-এপিক ডাউনলোড করে নিলেই ভোট দিতে কোনও অসুবিধা হবে না তাঁদের।