আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। — ফাইল ছবি।
কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সাংবাদিক বৈঠক করে দিনক্ষণ ঘোষণা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ২৪ মে।
আগামী মে মাসের বিধানসভা ভোটে ১৫০ আসন জয়ের লক্ষ্যে নামছে বিজেপি। অন্য দিকে, কঠিন লড়াই দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস, জেডিএস-ও। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং জেডিএস প্রথম দফার ১২৪টি এবং ৯৩ আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। আগের বার বিধানসভা ভোটে ১১৯টি আসন একা জিতেছিল বিজেপি। অন্য দিকে, কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৫টি আসন, জোটসঙ্গী জেডিএস পেয়েছিল ২৮ টি আসন।
কর্নাটকে এ বার মুখোমুখি লড়াই বিজেপি এবং কংগ্রেসের। বিগত কয়েক বছর ধরেই কর্নাটকে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, সংরক্ষণ ঘিরে ক্ষমতাসীন বাসবরাজ বোম্মাই সরকারের নতুন পদক্ষেপকে ঘিরে দ্বিতীয় বার কর্নাটক জয়ের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। গত রবিবার কর্নাটকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাসে গিয়েও একই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও কর্নাটক পুনর্দখলের আশায় বলিয়ান কংগ্রেস পুরোদমে দুর্নীতি প্রসঙ্গকে পাখির চোখ করে বিজেপির দিকে আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি করছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, ভোট ঘোষণার আগেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়কদের লোভ দেখিয়ে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে বোম্মাইয়ের অভিযোগ, কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার শতাধিক বিজেপি বিধায়ককে ফোন করে তাঁদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ‘টোপ’ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেস নেতা শিবকুমার সেই বিধায়কদেরই ফোন করছেন যে কেন্দ্রে এখনও তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপির অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার ভর করে এ বার কর্নাটক দখলে মরিয়া কংগ্রেস। তাতে নতুন উৎসাহের সঞ্চার করেছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের ঘটনা।
সব মিলিয়ে দিন ক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষা কেবল। বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে কর্নাটক ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি কেরলের ওয়েনাড়েও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে কর্নাটকে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাতে মানহানির মামলা করেন এক বিজেপি বিধায়ক। সেই মামলায় রায়ে রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুরতের আদালত। এর ফলে খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। তার জেরেই ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন করাতে হবে কমিশনকে। অন্য দিকে, জানুয়ারিতে মৃত্যু হয়েছে জালন্ধরের কংগ্রেস সাংসদ সন্তোখ সিংহ চৌধরির। সেই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন করাতে হবে। সেই দিন ক্ষণও বুধবারই ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।