কর্নাটকে কংগ্রেসকে নোটিস নির্বাচন কমিশনের। — ফাইল ছবি।
কর্নাটক ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার দুর্নীতি। এ বার কংগ্রেসের সেই ‘দুর্নীতির রেট কার্ডে’র প্রমাণ চাইল নির্বাচন কমিশন। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রমাণ-সহ নোটিসের জবাব দিতে হবে ডিকে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়াদের। বিজেপি এ ব্যাপারে কমিশনে নালিশ জানায়। তার পরেই কংগ্রেসকে নোটিস কমিশনের।
কর্নাটকে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে তাদের হাতিয়ার দুর্নীতির রেট কার্ড। বোম্মাই সরকারকে ৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার বলেও বিঁধছে কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে কর্নাটকে বিজেপির দুর্নীতির ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে একটি রেট কার্ড হাজির করে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন কংগ্রেসের কাছে জানতে চেয়েছে, যে দুর্নীতির কথা প্রচারে রেট কার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে, তার প্রমাণ দেওয়ার। পাশাপাশি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারকেও একই বিষয়ে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
শনিবার কংগ্রেসকে পাঠানো নোটিসে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, শুধু প্রমাণ দাখিলই নয়, তা সমাজমাধ্যমেও তুলে ধরতে হবে। আগামী ১০ মে ভোটকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে আক্রমণ করে একাধিক পোস্টার তৈরি করিয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যে একগুচ্ছ পোস্টার রয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্যে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে। এই সময়কালে রাজ্যের শাসনভার ছিল বিজেপির হাতে। বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের প্রচারে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে থাকে। অর্থাৎ, কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। কর্নাটকের ভোটযুদ্ধে বিজেপির সেই ডাবল ইঞ্জিন শব্দবন্ধকেই কটাক্ষ করে কংগ্রেস প্রচার করছে ‘ট্রাবল ইঞ্জিন’ সরকার বলে। কংগ্রেসের দাবি, কর্নাটকের ঠিকাদারেরা তাদের জানিয়েছেন, দক্ষিণের রাজ্যে ৪০ শতাংশ কমিশন না দিলে বিজেপি নেতা, মন্ত্রীরা কোনও কাজ করতে দেন না।
আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি। অন্য দিকে, ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেস। আগামী ১৩ মে ফলঘোষণা।