প্রতীকী ছবি।
যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন আসন্ন, সেখানে কোভিড -১৯ টিকাকরণের গতি বাড়াতে বলল নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলেছে যে, ভোটের মুখে থাকা রাজ্যগুলিতে শীঘ্রই সম্পূর্ণরূপে টিকাকরণ সুনিশ্চিত করতে হবে।
২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে, পাঁচ রাজ্য— গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ওমিক্রন আবহে এই পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচনী প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার একটি বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ প্রতিটি নির্বাচনমুখী রাজ্যে টিকা দেওয়ার হার সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানান। তিনি জানান, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় প্রথম টিকার হার প্রায় একশ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে প্রথম টিকার হার ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি । একই সঙ্গে মণিপুর এবং পঞ্জাবে এই হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে কম টিকাকরণ যুক্ত রাজ্যগুলিতে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া তরান্বিত করার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক ছাড়াও, নির্বাচন কমিশন ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং সশস্ত্র সীমা বলের শীর্ষ আধিকারিকদের ভোটের মুখে থাকা রাজ্যগুলির আন্তর্জাতিক সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে বলেছে। কমিশন এনসিবি কর্মকর্তাদের নির্বাচনী রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে পঞ্জাব এবং গোয়াতে মাদকের প্রভাব পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারপতি শেখর যাদবের বেঞ্চ, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে এক বা দু’মাসের জন্য বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত করার ও দেশের কোভিড পরিস্থিতির কারণে সমস্ত রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিবেচনা করার অনুরোধ করেছিল।