ভোটগ্রহণের ইভিএম যন্ত্র। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন আলোচনার সময় দিয়েছে বিরোধী শিবিরকে। এরই মধ্যে সম্প্রতি এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি ইভিএম হ্যাক করতে পারেন। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) এ বার ওই ভিডিয়োর ভিত্তিতে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন দাবি করার অভিযোগে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ভিডিয়োয় থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিডিয়োয় যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং প্রমাণহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যাওয়া ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা। কমিশনের দাবি, ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ সুজা। ওই ভিডিয়োয় সৈয়দ দাবি করেন, তিনি ইভিএমের কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি) হেরফের করে যন্ত্রটিকে হ্যাক এবং তথ্যের কারচুপি করতে পারেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়ো নজরে আসে কমিশনের।
কমিশন জানিয়েছে, এই একই ব্যক্তি অতীতেও ভুয়ো দাবি করেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ২০১৯ সালেও কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দিল্লিতে একটি এফআইআর রুজু হয়। তিনি অন্য কোনও দেশে লুকিয়ে রয়েছেন বলেও দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। নতুন করে অভিযোগ দায়েরের পর দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্তে আরও গতি এনেছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে বা অভিযুক্তের সঙ্গে দেশের কারও যোগ রয়েছে কি না, তা শনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পুলিশ। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং জড়িতদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না।
নির্বাচন কমিশন বার বার দাবি করেছে, ইভিএমে কোনও রকম কারচুপি করা সম্ভব নয়। এমনকি এই যন্ত্রকে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ বা অন্য কোনও নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্তও করা যায় না বলে দাবি কমিশনের। অতীতে একাধিক বার শীর্ষ আদালতও ইভিএমের উপরেই ভরসা রেখেছে।