Delhi Pollution

দিল্লির বাতাস ‘খুব খারাপ’ পর্যায়েই, শীঘ্রই অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা নেই

দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক মাপার জন্য ৩৭টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, রবিবার সকালে আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৪২, আইটিওতে ছিল ৩২১, মুণ্ডকায় ৩৬০।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০৩
Share:

রবিবার সকালে রাজধানীর গড় একিউআই ছিল ৩১১। — ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে দূষণের মাত্রা সামান্য কমলেও অস্বস্তি অব্যাহত। টানা আট দিন ধরে রাজধানীতে বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) রয়েছে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে। রবিবার সকালে রাজধানীর গড় একিউআই ছিল ৩১১। খুব শীঘ্র পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। তার কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং ধোঁয়াশা।

Advertisement

দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক মাপার জন্য ৩৭টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, রবিবার সকালে আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৪২, আইটিওতে ছিল ৩২১, মুণ্ডকায় ৩৬০। শহরের কিছু অংশে একিউআই রবিবার ৩০০-র নীচে নেমেছে। লোধি রোডে ২৫৬, পুসায় ২৮৯, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৯৯ ছিল একিউআই। অর্থাৎ, সেখানে বাতাসের গুণমানের সূচকের উন্নতি হয়ে ‘খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার বিকেল ৪টের সময় দিল্লির গড় একিউআই ছিল ৩৪৬। গত সপ্তাহের শুরুতে দিল্লিতে দূষণ পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। একিউআই পৌঁছয় ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।

Advertisement

দিল্লি এবং এনসিআরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার স্তরীয় পরিকল্পনা রয়েছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)-এর। একেই বলে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)। দিল্লিতে একিইউআই ‘খারাপ’ হলে জিআরএপি-১ চালু করা হয়। সে সময় রাস্তায় মাঝেমধ্যে জল ছেটানো হয়। খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। একিউআই ৩০০-র গণ্ডি ছাড়ালে জিআরএপি-২ চালু করা হয়। এই পরিকল্পনা চালু করা হলে রোজ রাস্তায় জল ছেটানো হয়। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। মেট্রো, ব্যাটারিচালিত বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। একিউআই ৪০০ ছাড়ালে জিআরএপি-৩ চালু করা হয়। সে সময় দিল্লি, এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে জিআরএপি-৪ চালু করা হয়। যে সব গাড়ির নম্বর অন্য রাজ্যের, সেগুলি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী সোমবার পর্যন্ত দিল্লিতে জিআরএপি-৪ চালু থাকতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement