উপনির্বাচনে জয় পাওয়ার পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উল্লাস। ছবি পিটিআই।
দেশের ছয় রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ভোট হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর)। চারটিতে বিজেপি এবং একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে আরজেডি, টিআরএস এবং উদ্ধবপন্থী শিবসেনা।
উত্তরপ্রদেশের গোলা গোকর্ণনাথ আসনটিতে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী আমন গিরি। আমনের বাবা, বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ গিরির মৃত্যুতেই এই আসনে উপনির্বাচন হয়। আমন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী বিনয় তিওয়ারিকে ৩৪ হাজার ২৯৮ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন।
আরও এক বারের জন্য বিহারের মোকামা আসনটি নিজেদের দখলে রাখছে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। এই আসনে জয়লাভ করেছেন নীলম দেবী। এই আসনের বিদায়ী বিধায়ক, নীলমের স্বামী অনন্ত সিংহ অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যায়।
হরিয়ানার আদমপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে ১৬ হাজার ভোটে পরাস্ত করে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজন লালের নাতি ভব্যা বিষ্ণোই।
মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব আসনে ৬৬,৭৫০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনার প্রার্থী রুতুজা লাটকে। রুতুজার প্রয়াত স্বামী, প্রবীণ শিবসেনা নেতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এই আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে রাজ্যে তাদের জোটসঙ্গী একনাথ শিন্ডেপন্থী শিবসেনাও। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই আসনে রুতুজার জয় কার্যত নিশ্চিতই ছিল। রুতুজার সঙ্গে ভোটের লড়াই হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নোটার!
ওড়িশার ধামনগর বিধানসভার উপনির্বাচনে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী বিজেডি প্রার্থীকে ৯,৮৮১ ভোটে পরাজিত করেছেন।
বিহারের মোকামা আসনটি পুনর্বার জয়ী হলেও রাজ্যের আর একটি আসন গোপালগঞ্জে জয় পেয়েছে বিজেপি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী কুসুম দেবী আরজেডি প্রার্থীকে ১,৭৯৪ ভোটে পরাস্ত করেছেন।
তেলেঙ্গানার মুনুগোড়ে আসনে বিজেপি প্রার্থীর তুলনায় ১১,৬৬৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন রাজ্যের শাসক দল টিআরএস-এর প্রার্থী কে প্রভাকর রেড্ডি। এই আসনে গণনার প্রাথমিক পর্বে এই আসনে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।