দলকে দ্রুত তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার নির্দেশ দিলেন রাহুল গাঁধী। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দলের কিছু নেতার সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেছেন রাহুল। তাঁদের খুব দ্রুত দলের সভাপতি খুঁজে নিতে বলেছেন। তবে ফের স্পষ্ট জানিয়েছেন, গাঁধী পরিবারের বাইরে থেকেই কাউকে বাছাই করতে। নিজের কোনও পছন্দ জানাতে চাননি তিনি।
রাহুলের মন বুঝে দলের একটি অংশ বলছে, চলতি সপ্তাহের শেষেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। এর জন্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার কোনও প্রয়োজন নেই। যদিও এ ভাবে ঘরোয়া বৈঠকে নাম স্থির করাতে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। তাঁদের মতে, ওয়ার্কিং কমিটি ছাড়া কংগ্রেসের মতো দলে সভাপতির নামে কে সিলমোহর বসাবে? এই টানাপড়েনের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদকদের যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তা-ও পিছিয়ে যায়। কাল সকালে তা হওয়ার কথা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হচ্ছে, অনেক সাধারণ সম্পাদক আজ সংসদে বিল পাশের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। তাই কাল সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সকাল দশটায় বৈঠক করা হবে।
কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদক পি সি চাকোর মতে, ‘‘এই বৈঠক মূলত রাজীব গাঁধীর জন্মবাষির্কী পালনের কর্মসূচি তৈরির জন্য ডাকা হলেও রাহুলের উত্তরসূরি বাছার রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হবে।’’ দল বলছে, এখনও পর্যন্ত মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীল কুমার শিন্দে, অশোক গহলৌতদের পাশাপাশি কে সি বেণুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক, এমনকি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলটের মতো নবীন নেতাদের নামও প্রস্তাবে এসেছে। এঁদের মধ্যেই কাউকে বেছে নেওয়া হবে। সামনের বিধানসভা নির্বাচন পার করে সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ, শশী তারুরের মতো নেতারা কোনও নবীন নেতাকেই এই পদে বসানোর পক্ষপাতী। বর্তমান ওয়ার্কিং কমিটিও ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।