(বাঁ দিকে) আদিত্য ঠাকরে এবং মিলিন্দ দেওরা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা ছিলই। সেই মতো উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে দলের রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওরাকে প্রার্থী করল একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। ফের মুম্বইয়ের ওরলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বালাসাহেব ঠাকরের পৌত্র আদিত্য। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে দেখা যাবে মিলিন্দকে। মনে করা হচ্ছে, এই কেন্দ্রে লড়াই টান টান হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ওরলি গত দেড় দশক ধরে ‘শিবসেনার দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত। ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। ঐতিহ্যগত ভাবেই দীর্ঘ দিন এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন সাবেক ঐক্যবদ্ধ শিবসেনার প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে ৬৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন আদিত্য। পেয়েছিলেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোট। মনে করা হচ্ছে, উদ্ধবসেনার যুব মুখ আদিত্যের বিরুদ্ধে আর এক যুব মুখকে নামিয়ে লড়াই জমিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে।
প্রয়াত কংগ্রেসের নেতা মুরলী দেওরার ছেলে মিলিন্দ। মুরলী টানা ৪০ বছর দক্ষিণ মুম্বই লোকসভার সাংসদ ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে বাবার ছেড়ে দেওয়া সেই দক্ষিণ মুম্বই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতেন মিলিন্দ। মনমোহন জমানায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে মনে করা হত মিলিন্দকে। মূলত, তাঁর মতো কয়েক জন নেতাকেই কংগ্রেসের ‘ভবিষ্যৎ’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছিল একটা সময়। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে আর ভোটে জিততে পারেননি মিলিন্দ। ২০১৪ এবং ২০১৯— দু’বারই তিনি হেরেছিলেন শিবসেনার অরবিন্দ সবন্তের কাছে। এর পর কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন শিন্ডেসেনায়।
রবিবার মোট ২০টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে শিন্ডেসেনা। লোকসভার সাংসদ নারায়ণ রানের পুত্র নীলেশ রানেকে কুদাল বিধানসভায় প্রার্থী করা হয়েছে। নীলেশের ভাই নীতেশ রানেকে ফের সিন্ধুদুর্গ জেলার কাঁকাভালি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সঞ্জয় নিরুপমকে মুম্বইয়ের দিনদোশি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে শিন্ডেসেনা। প্রাক্তন বিজেপি নেতা মুরজি পটেল শিন্ডেসেনার টিকিটে মুম্বইয়ের আন্ধেরি পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়বেন।