১৪ ঘণ্টা সিবিআই তল্লাশির পর রবিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। ফাইল চিত্র।
এ বার ইডির মুখে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। দিল্লির মদ-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে মণীশের বাড়িতে। রবিবার লুক আউট নোটিসও জারি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এ বার দিল্লির আবগারি নীতির ‘অনিয়ম’ নিয়ে মণীশের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনতে পারে কেন্দ্রীয় আর্থিক নিয়ামক সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
‘আর্থিক সুবিধা’র বিনিময়ে দিল্লির মদ বিক্রেতাদের বেআইনি ভাবে অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মণীশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার, জন্মাষ্টমীর সকালে, সেই সূত্রেই মণীশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। রবিবার তারা মণীশের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের একটি প্রতিলিপিও প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, এই মামলায় তদন্তের ভার রয়েছে ইডির উপরেও।
মণীশের বিরুদ্ধে এফআইআরে বলা হয়েছে, মদ বিক্রেতাদের অযাচিত সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, এমনই এক মদ-বিক্রেতা সংস্থা ইন্দোস্পিরিটের মালিক সমীর মহেন্দ্রু অন্তত দু’বার কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন মণীশের দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে। যদিও মণীশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, যেহেতু তিনি আম আদমি পার্টির সরকার এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, সে জন্যই তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দিয়ে হেনস্থা করানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য মণীশের বাড়িতে সিবিআই গোয়েন্দারা প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর রবিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হতেই টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে সিসৌদিয়া লেখেন, ‘‘আপনার সমস্ত অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কিছুই পাননি...। এ বার আপনি লুক আউট সার্কুলার জারি করলেন যেন, মণীশ সিসৌদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! কী ধরনের চমক এটা মোদীজি? দিল্লিতে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আপনি কি আমায় দেখতে পাচ্ছেন না? দয়া করে বলুন, কোথায় যেতে হবে?’’
শুক্রবার মণীশের বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালও। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘যে দিন দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র এনওয়াইটি-র প্রথম পাতায় মণীশ সিসৌদিয়ার ছবি ছাপা হল, সে দিনই মণীশের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দেওয়া হল। সিবিআইকে স্বাগত। সার্বিক সহযোগিতা করা হবে...।’’