প্রতীকী ছবি।
আর্থিক তছরুপের মামলায় ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা সংস্থা ওয়াজিরএক্সের এক ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওয়াজিরএক্সের মালিক সংস্থা হল জানমাই ল্যাবস প্রাইভেট লিমিটেড। ওই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে। অ্যাকাউন্টের সমস্ত লেনদেনও বন্ধ করা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, ওয়াজিরএক্সের ওই ডিরেক্টরের নাম সমীর মাত্রে। তাঁর কাছে সংস্থার তথ্য ভান্ডারের রিমোট অ্যাকসেস (যে কোনও জায়গা থেকেই তথ্য ভান্ডার ঘাঁটা সম্ভব) রয়েছে। তা সত্ত্বেও সমীর তদন্ত সহযোগিতা করছেন না। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র নেই। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে ঋণের ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যাঙ্ক নয় এমন একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, এই ধরনের বেশ কিছু সংস্থায় চিনের বিনিয়োগও রয়েছে। ইডির দাবি, তদন্ত শুরু হওয়ার এমন বহু প্রতিষ্ঠান ঋণের ব্যবসা বন্ধ করে মোটা অঙ্কের মুনাফা সরিয়ে নিয়েছে। সেই অর্থ দিয়ে কেন হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই ‘ভার্চুয়াল সম্পত্তি’র হদিস পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের।
যে সব সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত, সম্প্রতি সেই সংস্থার কর্ণধারদের তলবও করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, মুনাফার মোট অঙ্ক ওয়াজিরএক্সে লেনদেনের মাধ্যমে সরানো হয়েছে। কেনা ক্রিপ্টোকারেন্সি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি অ্যাকাউন্টে।