লালুপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী। ফাইল চিত্র।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ী দেবীর গোশালার এক কর্মীর নামেও সম্পত্তি রাখা হয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির অভিযোগ, ‘জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি’র মামলায় রাবড়ী দেবীর গোশালার এক কর্মীর নামেও সম্পত্তি রয়েছে। রেলের এক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়। তার পর সেই সম্পত্তি লালুর মেয়ে হেমা যাদবের নামে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির।
অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন সংক্রান্ত (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে গত ২৭ জানুয়ারি একটি চার্জশিট দাখিল করে ইডি। সেই চার্জশিটে অমিত কাটিয়াল, হৃদয়নন্দ চৌধরী, লালু-কন্যা মিসা ভারতী এবং হেম যাদবের নাম যুক্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। পিএমএলএ আদালত ইডির সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে এবং আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।
‘জমির বিনিমনয়ে রেলে চাকরি’ মামলায় সোমবারই লালুকে জেরা করে ইডি। টানা ন’ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এই মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি তলব করা হয়েছিল লালুপ্রসাদের কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদবকে। সোমবার লালুকে জেরা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী।
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ‘ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্তে লালু-পুত্র তথা বিহারের সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর নামও উঠে আসে।