চন্দা কোছর। —ফাইল চিত্র
আরও বিপাকে ঋণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চন্দা কোছর। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তার ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার মধ্যে চন্দা কোছরের মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে। যদিও সাময়িক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আপাতত ওই অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়তে হবে না। সেখানেই থাকতে পারবেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, শুধুমাত্র ওই সম্পত্তি বিক্রি বা বন্ধক দেওয়া যাবে না।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সর্বময় কর্তা হিসেবে চন্দা দায়িত্ব পান ২০০৯ সালে। ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ছিলেন ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ২০০৯ ২০১৬ সালে। তবে সিবিআই তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালে। দায়ের হয় অর্থ তছরুপের মামলা। সেই মামলার জেরেই শুক্রবার তাঁর মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্ট, বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে বিনিয়োগ মিলিয়ে মোট ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
ইডির এই নির্দেশের পরেই চন্দার আইনজীবী সুজয় কান্তাওয়ালা বলেন, ‘‘প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্টের অর্থ ওই সম্পত্তি থেকে মালিককে সরানো যাবে না। এ বার ইডি-কে ৬ মাসের মধ্যে প্রমাণ করতে হবে যে, ওই সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দুর্নীতির অর্থে কেনা।’’
চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আইসিআইসিআই-এর শীর্ষ পদে থাকাকালীন ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে একাধিক সংস্থাকে মোট ১৮৭৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিলেন। ওই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের আইন মানা হয়নি বলেও অভিযোগ। সেই ঋণের একটা বড় অংশ আবার ঘুরপথে চন্দার স্বামী দীপক কোছরের সংস্থা ন্যুপাওয়ার রিনিউঅ্যাবলস-এ গিয়েছিল। কিন্তু পরে সেই ঋণ আর ফেরত পায়নি ব্যাঙ্ক, অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা আর ফেরত দেয়নি। ফলে ২০১২ সালে ১৭৩০ কোটি টাকা অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। সেই দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি।