বাংলায় লগ্নিতে চিন্তা শ্রম-আইন সংস্কার, মামলাও

শ্রম আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক সমীক্ষা রাজ্যগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। নমনীয় ও অনমনীয়। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে অনমনীয় রাজ্যগুলির তালিকায়। অর্থাৎ যেখানে সহজে শ্রম আইনে সংস্কার হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিনিয়োগের রাস্তা খুলতে হলে শ্রম আইনের সংস্কার প্রয়োজন। নিম্ন আদালতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিও দরকার। যাতে ব্যবসায়িক চুক্তি লঙ্ঘন হলে দ্রুত বিচার মেলে। কিন্তু এই দুই মাপকাঠিতেই পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করল আর্থিক সমীক্ষা। এই দুইয়ের ফলে যে লগ্নিতে বাধা আসছে, তার প্রমাণ হল— নতুন সংস্থা বা স্টার্ট-আপের মাত্র ৩.০৩ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে। যেখানে মহারাষ্ট্রে ১৮.৯১ শতাংশ।

Advertisement

শ্রম আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক সমীক্ষা রাজ্যগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। নমনীয় ও অনমনীয়। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে অনমনীয় রাজ্যগুলির তালিকায়। অর্থাৎ যেখানে সহজে শ্রম আইনে সংস্কার হয় না। ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কোনও রাজ্যেই শ্রম আইনে সংস্কার হয়নি। ২০১৪-য় রাজস্থানে শ্রম আইনের সংস্কার হয়। অন্য কিছু রাজ্যও সেই পথ ধরে। এই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ যথেষ্ট অনড় বলে আর্থিক সমীক্ষার মত। মোদী সরকার শ্রম আইনে সংস্কার করে বেতন বিধি বিল আনছে। এতে শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়বে। আর্থিক সমীক্ষা বলছে, পশ্চিমবঙ্গে অদক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন সবথেকে কম।

নিম্ন আদালতে মামলা ঝুলে থাকা, দেরিতে মামলার নিষ্পত্তির দিক থেকেও পশ্চিমবঙ্গে নজর দেওয়া দরকার বলে আর্থিক সমীক্ষার মত। না-হলে ব্যবসায়িক চুক্তি রূপায়ণের কাজ সহজ হবে না। আর্থিক সমীক্ষার বক্তব্য, গোটা দেশেই নিম্ন আদালতে ‘মাৎস্যন্যায়’ চলছে। তাই ব্যবসার সহজ পরিবেশ বা বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর তালিকায় ভারত চার বছরে ১৪২ থেকে ৭৭তম স্থানে উঠে এলেও, ব্যবসায়িক চুক্তি কার্যকর করার মাপকাঠিতে মাত্র এক স্থান উপরে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে নিম্ন আদালতে মামলা ঝুলে থাকার হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। মামলার নিষ্পত্তির সময়ও জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। দেওয়ানি মামলার দু’টি শুনানির মাঝখানে গড়ে ১৬৭ দিন সময় লাগে। পশ্চিমবঙ্গে নিম্ন আদালতে শূন্য পদ কম বলেও মামলা বেশি ঝুলে রয়েছে। ফলে বিচারক পদের সংখ্যাও রাজ্যে বাড়ানো দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement