তরুণ বজাজ। ছবি: সংগৃহীত।
অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক সচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তরুণ বজাজকে। তিনি এখন থেকে শুধুমাত্র রাজস্ব সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন। অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরে এই রদবদলের পরে প্রশ্ন উঠেছে, গত সপ্তাহে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে কি এই প্রবীণ আইএএস অফিসারের উপরে কোপ পড়ল!
৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় দফার ভোটের ঠিক আগের দিন স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কমানোর নির্দেশ জারি হয়। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পর দিন ভোরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, নজর এড়িয়ে যাওয়ায় ওই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। তখনই কার্যত আমলাদের উপরে দায় ঠেলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। যদিও নির্দেশিকায় বলা ছিল, উপরমহল বা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের ভিত্তিতেই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এখন বজাজের ঘাড়েই সেই দায় চাপানো হল কি না, তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
কোভিড পরিস্থিতিতে চলতি বছরের বাজেট তৈরি, তার আগে লকডাউনের সময়ে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ আর্থিক প্যাকেজ তৈরিরও দায়িত্বে ছিলেন তরুণ। তার আগে পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ছিলেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থ মন্ত্রকের মধ্যে আরও সমন্বয়ের জন্যই তাঁকে অর্থ মন্ত্রকে আনা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির শেষে অর্থসচিব ও রাজস্ব সচিবের পদ থেকে অজয়ভূষণ পাণ্ডের অবসরের পরে তাঁকে রাজস্ব সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আজ মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বজাজ রাজস্ব সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন। আর্থিক বিষয়ক সচিবের পদে নিয়ে আসা হবে বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল নিগমের এমডি অজয় শেঠকে।
গত এক মাসের বেশি অর্থসচিবের পদ খালি থাকলেও, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণত অর্থ মন্ত্রকের বিভিন্ন দফতরের সচিবদের মধ্যে প্রবীণতম ব্যক্তিকেই অর্থসচিব করা হয়। নতুন আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ, ব্যয়সচিব টি ভি সোমনাথন, বিলগ্নিকরণ সচিব তুহিন পাণ্ডে তিন জনই ১৯৮৭-র ব্যাচের আইএএস। ফলে তাঁদের মধ্যে কে অর্থসচিব হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।