নসীম জৈদী। -ফাইল চিত্র।
পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিন-ক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে আগামী ১১ মার্চ।
ওই পাঁচ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কমিশনের কার্যালয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী বৈঠক করেন। এর পর বেলা ১২টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভোটের দিন-ক্ষণ জানিয়ে দেন। তিনি জানান, গোয়া এবং পঞ্জাবে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি। উত্তরাখণ্ডে ১৫ ফেব্রুয়ারি গৃহীত হবে ভোট। মণিপুরে দু’দফায় ভোটগ্রহণ হবে— ৪ মার্চ এবং ৮ মার্চ। ২০১২ সালের মতো এ বারও উত্তরপ্রদেশে মোট সাত দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ওই রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। পরের ছয় দফা যথাক্রমে ১৫, ১৯, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৪ মার্চ এবং ৮ মার্চে হবে। এই ঘোষণার সঙ্গেই ওই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গেল।
আরও পডুন: ফোন, কান্না, বৈঠকেও বাপ-বেটার দ্বন্দ্ব মেটেনি
গোয়া, মণিপুর এবং পঞ্জাবে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৮ মার্চ। ২৬ এবং ২৭ মার্চ যথাক্রমে মেয়াদ শেষ হবে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার। জৈদী জানিয়েছেন, পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে মোট ৬৯০টির মধ্যে ৬১৯টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ১৩৩টি আসন তফসিলি জাতি এবং ২৩টি আসন উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। প্রায় ১০০ শতাংশ ভোটারেরই সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে। ওই পাঁচ রাজ্যের আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। ওই তালিকায় অসংখ্য ভুল সংশোধনের পাশাপাশি এক ব্যক্তির একাধিক জায়গায় থাকা নাম কাটা গিয়েছে বলে জৈদীর দাবি। গোয়া ও পঞ্জাবে ৫ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে ১০ জানুয়ারি এবং মণিপুর ও উত্তরপ্রদেশে আগামী ১২ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। ভোটের আগে প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ফোটো ভোটার স্লিপ। প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হবে রঙিন ভোটার গাইড। সেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, ভোটগ্রহণের তারিখ, সময় এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোন কোন পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যেতে পারে তার বিবরণ থাকবে।
পাঁচ রাজ্যে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার বুথে ভোট গ্রহণ হবে। গত নির্বাচনের থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় মহিলাদের জন্য আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। যে জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রাখা হবে, গোপনীয়তা বজায় রাখতে তার পর্দার উচ্চতা প্রায় ৩০ ইঞ্চি বাড়ানো হবে। কোনও কোনও বুথে ইভিএম-এর সঙ্গে থাকবে ভোটার-ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট)।