প্রতীকী ছবি।
সিডনি বিমানবন্দরের এক শুল্কমুক্ত বিপণি থেকে টাকা রাখার ব্যাগ চুরির দায়ে তাদের পূর্বাঞ্চলের ডিরেক্টর রোহিত ভাসিনকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করল এয়ার ইন্ডিয়া। বিমান সংস্থার অভ্যন্তরীণ তদন্তে ২২ জুনের ওই ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রোহিত অবশ্য ইস্তফার বদলে স্বেচ্ছাবসর নিতে চেয়েছিলেন। তবে সংস্থার তরফে সেই অনুরোধ নাকচ করা হয়েছে।
২২ জুন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সিডনি থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিমানসংস্থার এআই৩০১ উড়ানটি। ওই বিমানের অন্যতম কম্যান্ডার বা পাইলট ছিলেন রোহিত। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ জুন চুরির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সাসপেন্ডও করা হয় অভিযুক্ত রোহিতকে। তবে গত কাল ইস্তফা-প্রক্রিয়ার সুবিধার্থেই তাঁর সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ। যাতে আজ তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরে কোনও রকম প্রক্রিয়াগত জটিলতার সৃষ্টি না হয়।
অভিযোগ ওঠার পরে রোহিত বলেছিলেন, সিডনি থেকে ওড়ার ঠিক আগে নাতির জন্মের খবর পেয়েছিলেন তিনি। তাই ওই দোকানে গিয়েছিলেন পুত্রবধূর জন্য উপহার কিনতে। কিন্তু উড়ানের সময় হয়ে যাওয়ায় ভুলবশত ব্যাগটির দাম না-মিটিয়েই দৌড়তে শুরু করেন। আজ সংস্থার এক আধিকারিক জানান, স্বেচ্ছা অবসরের (ভিআরএস) অনুমতি চেয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানির সঙ্গে দেখা করেছিলেন রোহিত। ভিআরএস-এর ক্ষেত্রে অবসরের পরেও নানা সুবিধা পেতে পারতেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে রোহিত এবং তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা, বিনামূল্যে বিমানের পাসের মতো আরও নানা সুবিধা। যা সংস্থা তাঁকে দিতে চায় না বলে জানান ওই আধিকারিক। সেই কারণেই রোহিতের অনুরোধ গ্রাহ্য করা হয়নি।
ঘটনাটি সিডনিতে ঘটায় সংস্থার পক্ষ থেকে রোহিতের কাছে দু’টি বিকল্প দেওয়া হয়। এক, সেখানকার আদালতে আইনি লড়াই লড়া। দুই ‘স্বেচ্ছায়’ ইস্তফা দেওয়া।