পাইলট বিমান না ওড়ানোয় বাধ্য হয়েই যাত্রীদের অনেকেই বাসে রওনা হন।
অত্যধিক কুয়াশার জন্য পাকিস্তানে মাঝপথে বিমান থেকে নামিয়ে যাত্রীদের বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিল বিমান সংস্থা। আর ভারতে কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিমানই ওড়ালেন না পাইলট। বিমানের টিকিট থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের কেউ বাসে রওনা দিলেন, তো কেউ হোটেলের ঘরে রাত কাটিয়ে সকালের বিমান ধরবেন স্থির করলেন। বৃহস্পতিবার জয়পুরের সানগানীর বিমানবন্দরের ঘটনা।
বিমানটি অ্যালিয়্যান্স এয়ার-এর। বৃহস্পতিবার রাতে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ওই বিমানের জয়পুর থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। যে পাইলট এই বিমান ওড়াবেন, তিনি দিল্লি থেকে অন্য একটি বিমান উড়িয়ে আনেন জয়পুরে। কিন্তু দিল্লি থেকে জয়পুর পৌঁছোতে অনেক দেরি হয়ে যায়। রাত দেড়টা বেজে যায়। এরপরই ওই পাইলট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, তিনি আর বিমানের ককপিটে বসবেন না। কারণ তাঁর কাজের সময় পার হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি-বেঙ্গলুরু বিমানের টিকিটের দাম ৯৫ হাজার টাকা!
সানগানীর বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জেএস বলহারা জানান, অসামরিক বিমান চলাচল দফতর (ডিজিসিএ)-এর নিয়ম অনুযায়ী যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থেই নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত কাজ করা নিষিদ্ধ পাইলটদের। সে কারণেই ওই পাইলট পরবর্তী বিমান ওড়াবেন না বলে জানিয়ে দেন।
বিমানটির জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা তা শোনার পরই ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিমান সংস্থাই যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেন।
সম্প্রতি অনেকটা একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের যাত্রীদেরও। আবুধাবি থেকে পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান-এ যাচ্ছিল একটি বিমান। কিন্তু সে দিন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা থাকায় বিমানটিকে লাহৌর বিমানবন্দরে নামিয়ে দেন পাইলট। বাকি পথ যাত্রীদের বাসে যেতে হয়।