আগামী ১২ জুন পটনায় কংগ্রেসের বৈঠক পিছিয়ে যেতে পারে। —ফাইল চিত্র।
পটনায় আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য বিরোধী শিবিরের বৈঠক পিছিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মূলত কংগ্রেসের অনুরোধেই এই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বা রাহুল গান্ধী কেউই ১২ জুন বৈঠক হলে হাজির থাকতে পারবেন না। রাহুল এখন আমেরিকায়। খড়্গেও ওই দিন ব্যস্ত থাকবেন। কংগ্রেস চাইছে, খড়্গে ও রাহুল দু’জনেই বৈঠকে হাজির থাকুন। এ ছাড়া ডিএমকে প্রধান, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও ওই দিন তাঁর রাজ্যে একটি বাঁধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান রয়েছে বলে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবিরের বৈঠক ২০ জুন বা তার পরে হতে পারে। সব দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত হবে। বৈঠক পটনাতেই হবে বলে সূত্রের দাবি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারকে ওই বৈঠক পটনায় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস অবশ্য গোড়া থেকেই চাইছিল, বৈঠকটি দিল্লিতে হোক। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস ছড়ি ঘোরাতে পারে, এই আশঙ্কায় মমতা আপত্তি করেছিলেন। কংগ্রেসের তরফে অবশ্য এখনও হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলাতে বিরোধী শিবিরের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রয়েছে। কংগ্রেস সম্প্রতি হিমাচলে ক্ষমতায় এসেছে।
এর আগে কংগ্রেস ও ডিএমকে উভয়েই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে বলেছিল, একান্ত পিছোনো না গেলে বৈঠকে দলের প্রধানরা যেতে না পারলেও অন্য কেউ যোগ দেবেন। নীতীশ কুমারই মূলত সব দলেরসঙ্গে সমন্বয়ের কাজটি করছেন। প্রথম দিকে নীতীশের মত ছিল, প্রথমবারের বৈঠকই পিছিয়ে গেলে ভুল বার্তা যাবে। কংগ্রেস, ডিএমকে তা মেনে নিয়ে জানিয়েছিল, খড়্গে-রাহুল-স্ট্যালিনদের বদলে অন্য কেউ বৈঠকে যোগ দেবেন। কিন্তু এখন জেডিইউ সূত্রের খবর, প্রথম বৈঠকে যাতে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা সকলে হাজির থাকতে পারেন, সে কারণে তা পিছিয়ে দেওয়ার কথাভাবা হয়েছে। তবে চলতি মাসেই বৈঠক হবে।