— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল দু’জনের। তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। মাস কয়েক আগে বিয়ের কথা পাকা হয়। তখনও দুই পরিবারের কথা হয় সমাজমাধ্যমেই। কিন্তু বিয়ের দিন যথাস্থানে পৌঁছে পাত্র দেখলেন, কনে নেই! সম্প্রতি পঞ্জাবে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রের নাম দীপক কুমার। বাড়ি পঞ্জাবের জলন্ধরের মান্দিয়ালি গ্রামে। দুবাইতে শ্রমিকের কাজ করতেন দীপক। বছর তিনেক আগে ইনস্টাগ্রামে পঞ্জাবের মোগার বাসিন্দা মনপ্রীত কৌরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দীপকের। আলাপ ক্রমে প্রেমে গড়ায়। তবে কখনও দু’জনের দেখা হয়নি। সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হয় দীপক-মনপ্রীতের। সমাজমাধ্যমে এবং ফোনে দফায় দফায় দুই পরিবারের কথাও হয়। বিয়ের তোড়জোড় করতে এক মাস আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন দীপক। এর পর নির্দিষ্ট দিনে বিয়ে করতে মোগায় পৌঁছন দীপকেরা। সঙ্গে ছিলেন ১৫০-রও বেশি বরযাত্রী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখেন, বিয়ের কার্ডে উল্লিখিত স্থানের কোনও অস্তিত্বই নেই! কনের বাড়ির সদস্যেরাও কেউ কোথাও নেই। এমনকি, বরের পরিবারের দাবি, সন্ধে পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরেও কনের বাড়ির কাউকে দেখা যায়নি। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দীপক ও তাঁর পরিবার।
দীপকের বাবা প্রেম চাঁদ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বিয়ের খরচ বাবদ কনের পরিবারকে আগেই ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। এ ছাড়া, গাড়ি ভা়ড়া, ক্যাটারিং এবং আনুষঙ্গিক নানা খরচ বাবদ আলাদা করে কয়েক দফায় টাকা পাঠানো হয়েছিল। বিয়ের জন্য অতিথিদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো ১৫০-রও বেশি বরযাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে মোগায় পৌঁছন দীপকেরা। কথা ছিল, স্টেশন থেকে কনের বাড়ির লোকেরা এসে তাঁদের বিয়েবাড়িতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বহু ক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও কেউ আসেননি। পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, কার্ডে উল্লিখিত ‘রোজ় গার্ডেন প্যালেস’ নামের কোনও বিয়েবাড়ির আদতে অস্তিত্বই নেই! এর পরেই দীপক বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরা। মোগার সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হরজিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, মনপ্রীত ও তাঁর পরিবারের সকলেরই ফোন বন্ধ। পাত্রপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ‘কনে’ ও তাঁর পরিবারের খোঁজ চলছে।