গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মাদক-কাণ্ডে শাহরুখ-তনয়কে ধরার পর ঠিক যেন পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একটা একটা করে রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি)। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে এনসিবি-র তদন্তকারীদের হাতে। তাঁরা জানতে পেরেছেন, কর্ডিলিয়া প্রমোদতরীতে শনিবার রাতে যে মাদক আনা হয়েছিল, তা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে কেনা হয় বিটকয়েনের মাধ্যমে।
সোমবারই শ্রেয়স নায়ার নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছেন প্রমোদতরীতে ওই রাতে ডার্ক ওয়েব-এর মাধ্যমে মাদকের বরাত পেয়েছিলেন। তার জন্য তাঁকে কোনও নগদ টাকা দেওয়া হয়নি। পুরো টাকাটাই মেটানো হয়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে। আর এখানেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে এনসিবি-র তদন্তকারীদের।
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এ বার ঘুরপথে মাদকের লেনদেন এবং পাওনা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যাতে সহজে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার এড়ানো যায়? শ্রেয়সকে জেরা তা জানার চেষ্টা চলছে বলে এনসিবি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রাখবে এনসিবি।
তবে আরিয়ানকে ওই পার্টিতে কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, আরিয়ান এবং তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের টাকা কে বা কারা মিটিয়েছিলস, তারও যোগসূত্র খুঁজজেন তদন্তকারীরা। শনিবার রাতে যখন প্রমোদতরীতে হানা দেয় এনসিবি, সে সময় আরিয়ানের লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয় মাদক। এ ছাড়া তাঁর বান্ধবীর স্যানিটারি প্যাড এবং অন্তর্বাস থেকেও উদ্ধার হয় মাদক।
এনসিবি সূত্রে খবর, স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও রাখা ছিল মাদক। খুব সহজে যাতে মাদকের হদিশ না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণে সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের।