পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার নির্দেশ।
লকডাউনে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হেঁটেই ভিন্ রাজ্য থেকে রওনা দিয়েছিলেন কেউ কেউ। কয়েকশো মাইল পেরোতে কেউ কেউ আবার বেরিয়েছিলেন সাইকেল নিয়ে। লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে এ ভাবে রাস্তায় বার হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এ বার সেই সমস্ত মামলা তুলে নিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।সেই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত
একটানা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউনের জেরে ট্রেন-বাস বন্ধ। সরকারের তরফে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হলেও এখনও বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করে বাড়ি ফেরাতে হবে বলে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছে, কোনও রাজ্য সেখানে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত পাঠাতে চাইলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে।
সোমবার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলার শুনানি করছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানেই এমনই নির্দেশ দেয় বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে আরও বলা হয়, পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেন বা বাসের ভাড়া নিতে পারবে না রাজ্যগুলি। যাত্রাপথে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে বিনামূল্যে খাবার ও জল পান, তা-ও দেখতে হবে রাজ্যগুলিকেই। শুধু তাই নয়, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যদি পরিয়ায়ী শ্রমিকরা ভিন্ রাজ্যের কর্মস্থলে ফিরে যান, তাঁদের কাউন্সেলিং করানোর দায়িত্বও রাজ্যের।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, দেশে করোনায় আক্রান্ত ২.৬৬ লক্ষ
আরও পড়ুন: সিএএ রাজনীতি মমতাকেই শরণার্থী করে দেবে, তোপ অমিতের
শীর্ষ আদালত আরও জানায়, এখনও পর্যন্ত কত জন পরিযায়ী পৌঁছেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। লকডাউনের আগে তাঁরা কী কাজ করতেন, কোন কাজে তাঁদের দক্ষতা রয়েছে, তা উল্লেখ করতে হবে ওই তালিকায়। লকডাউন উঠলে কোনও প্রকল্পের আওতায় ওই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করা যায় কিনা, হলফনামা জমা দিয়ে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যগুলিকে।