প্রতীকী ছবি।
‘হর ঘর তিরঙ্গা’-ই শুধু নয়, এ বার ১৫ অগস্ট অরুণাচলের পূর্ব কামেং জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলির ঘরে ঘরে পৌঁছবে জীবনদায়ী ওষুধও। তা নেমে আসবে আকাশ থেকে। তাই এই প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘মেডিসিন ফ্রম দ্য স্কাই’।
অরুণাচল সরকার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পূর্ব কামেং জেলায় ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানোর কাজ পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করতে চলেছে। দেখা হবে, প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ড্রোন সফল ভাবে ওষুধ পৌঁছে দিতে পারে কি না এবং সেখানকার মানুষ সেই ওষুধ সদ্ব্যবহার করতে পারেন কি না।
পাহাড়ি রাজ্য অরুণাচলের বহু গ্রামই দুর্গম এলাকায়। অনেক ক্ষেত্রে গাড়িও পৌঁছয় না। কয়েক দিন ধরে পাহাড়-জঙ্গল পায়ে হেঁটে পার করে তবে শহরে পৌঁছতে পারেন গ্রামের মানুষ। সরকারের পক্ষেও দুর্গম গ্রামে সড়ক পথে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই পেমা খান্ডুর সরকার ডব্লুইএফ-এর সঙ্গে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে চুক্তি করেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি খুব একটা সহজ নয়। তাই পূর্ব কামেং জেলায় কাজ হাতেকলমে শুরু করে দেখে নেওয়া হবে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে। তার পরেই ধীরে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করা হতে পারে।
পূর্ব কামেং জেলার জেলাশাসক প্রভিমল অভিষেক পলুমাতলা জানান, বর্ষাকালে পার্বত্য অংশে পৌঁছনো দুঃসাধ্য। তাই ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানো গেলে সেখানকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে।
জেলা সদর সেপাকে কেন্দ্র করে এই ড্রোনভিত্তিক ওষুধ সরবরাহ প্রকল্প কাজ শুরু করবে। সেখান থেকে জেলার সব প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সিএইচসিস, ল্যাবরেটরির সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে নেটওয়ার্ক। ভারতীয় স্টার্ট আপ সংস্থার তৈরির উল্লম্ব ভাবে উঠতে-নামতে সক্ষম, মালবাহী বড় ড্রোন ব্যবহার করা হবে ওষুধ পাঠানোর কাজে।
পলুমাতলা জানান, ওষুধ পাঠানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, ফলাফল পাঠানো, প্রতিষেধক পাঠানোর কাজেও ড্রোন ব্যবহার করা হবে। আকাশপথে সময়ও কম লাগবে। খরচও কমবে। প্রকল্পের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পাহাড়ি গ্রামে গ্রামে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। নিয়োগ করা হয়েছে ‘ড্রোন দূত’।