—প্রতীকী চিত্র।
সন্ত্রাস নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা অবস্থা, তা-ও জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। ভারতে নাশকতা চালাতে জঙ্গিদের একে-৪৭, গ্রেনেড এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা। আর এ সবই হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোনের সাহায্যে। এমনটাই দাবি পঞ্জাব পুলিশের। তাদের মতে, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আটোসাঁটো হতেই এমন রাস্তা বেছে নিয়েছে পাকিস্তান।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পঞ্জাব পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১০ দিনে আট বার এমন ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে ওই ড্রোনগুলি। উন্নত প্রযু্ক্তিতে তৈরি ওই ড্রোনগুলি ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন বইতে পারে। মাটির কাছাকাছি উচ্চতায় থেকেই দ্রুত গতিতে সেগুলি উড়তে সক্ষম। তাই নজরও এড়িয়ে যায়।
সম্প্রতি তরণতারণে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া একটি ড্রোন উদ্ধার হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেটি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারেনি। পরে জঙ্গিরাই সেটি পুড়িয়ে দেয় বলে ধারণা পুলিশের। এর পর অক্ষত অবস্থায় আরও একটি ড্রোন পঞ্জাব পুলিশের হাতে আসে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, ওই ড্রোনে জঙ্গিদের পাঁচটি স্যাটেলাইট ফোন সরবরাহ করা হচ্ছিল। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: উরির কায়দায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জইশ, সতর্কতা জারি হল বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে
এমনিতে ভারতে সাধারণ মানুষের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ওই ফোনগুলি জম্মু-কাশ্মীরে আস্তানা গেড়ে থাকা জঙ্গিদেরই পাঠানো হচ্ছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। কারণ এই মুহূর্তে উপত্যকার সর্বত্র জ্যামার বসানো রয়েছে। তার জেরে ফোন পরিষেবা একেবারেই বন্ধ। স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে জঙ্গিরা যাতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, সে জন্যই ওগুলি পাঠানো হচ্ছিল বলে দাবি পঞ্জাব পুলিশের।
এর আগে, অগস্ট মাসে অমৃতসরের কাছে পাকিস্তান সীমান্তেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তাই এ বার বিষয়টি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকায় হতাশ, কাশ্মীর নিয়ে মোদীর উপর এখনও কোনও চাপ নেই: ইমরান
গোয়েন্দা সূত্রে জঙ্গি হামলার ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকেই পঞ্জাবের সর্বত্র নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। সোমবারই খালিস্তানি জিন্দাবাদ ফোর্সের চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় সেখানে। তাদের কাছ থেকেও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয় বলে খবর। পঞ্জাবের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ একটি সাদা রঙের মারুতি সুইফ্ট গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ওই চার জঙ্গি। তাদের বলবন্ত সিংহ, আকাশদীপ সিংহ, হরভজন সিংহ এবং বলবীর সিংহ বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অপরাধমূলক কাজের জন্য আগে থেকেই পুলিশের খাতায় নাম ছিল আকাশদীপ এবং বলবন্তের।