রান্যা রাও। — ফাইল চিত্র।
সোনাসমেত বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পর থেকে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও বার বার দাবি করেছিলেন, পাচারের বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এ বার ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টালিজেন্স (ডিআরআই) বেঙ্গালুরুর আদালতে দাবি করল, সোনাপাচারের বিষয়ে রান্যার ‘স্বীকারোক্তি’ মিলেছে। তিনি জেরায় ‘স্বীকার’ করেছেন, হাওয়ালার মাধ্যমে তাঁর কাছে যেত সোনা কেনার টাকা।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর আদালতে রান্যার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানে ডিআরআই সেই জামিনের বিরোধিতা করে। তাদের আইনজীবী মধু রাও জানিয়েছেন, রান্যার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ, আইনভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হবে। মামলার রায় স্থগিত রেখেছে আদালত। আগামী ২৭ মার্চ রায় দেবেন বিচারক।
এর আগে দু’বার আদালতে রান্যার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। প্রথম বার আবেদন খারিজ করেছিল নিম্ন আদালত। দ্বিতীয় বার তা খারিজ করে দেয় স্পেশাল কোর্ট ফর ইকনমিক অফেন্স।
গত ৩ মার্চ দুবাই থেকে ফেরার পথে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন রান্যা। তাঁর কাছে প্রায় ১২.৫৬ কোটি টাকার সোনা মিলেছিল। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২.০৬ কোটি টাকার গয়না এবং নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা মিলেছিল।
সোনাপাচার মামলায় ডিআরআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে এই একই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের ঘটনার দিন তিনেক পর মুম্বই বিমানবন্দর থেকেও প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। সেই সোনাও দুবাই থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, দুবাই থেকে কোনও এক চক্র এই সোনাপাচারের নেপথ্যে রয়েছে। যদিও সেই ব্যাপারে কোনও সূত্র মেলেনি বলেই খবর।
ডিআরআই দাবি করেছিল, বন্ধু রাজুর সঙ্গে প্রায় ২৬ বার দুবাইয়ে গিয়েছিলেন রান্যা। প্রতি বারই সকালে গিয়ে সেই রাতে ফিরেও এসেছিলেন। তদন্তকারীদের একটি অংশ মনে করছে, সোনাপাচারের উদ্দেশ্যেই অত বার ওই তরুণের সঙ্গে সকালে গিয়ে রাতে ফিরে এসেছিলেন রান্যা। সোনাপাচারের অভিযোগে তরুণকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার ডিআরআইয়ের দাবি, হাওয়ালার টাকায় সোনা কেনার কথা ‘স্বীকার’ করেছেন রান্যা।