পাউডার ওষুধ প্রতীকী চিত্র
করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন নির্ভরতা কমাবে ডিআরডিও-র তৈরি নতুন ওষুধ। ‘২ ডিজি’ নামে এই ওষুধটি পাউডারের মতো, খেতে হয় জলে গুলে। ইতিমধ্যে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটিকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই আক্রান্তদের হাতে পৌঁছে যাবে এই ওষুধটি। ডিআরডিও-র অধিকর্তা ও বিজ্ঞানী সুধীর চন্দনা জানিয়েছেন, নানা দিক থেকে আক্রান্তদের রক্ষা করবে এই ওষুধ।
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই ওষুধ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, শরীরে করোনা ছড়িয়ে পড়া অনেকটাই আটকে দেয় এই ওষুধটি। তার পর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি চাওয়া হয়। ২০২০ সালের মে মাসে ট্রায়াল শুরু হয়। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের শেষে দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল শেষ হয়। আশাপ্রদ ফল হাতে পাওয়া যায়। ওষুধের ট্রায়াল চলেছিল মাঝারি ও বেশি উপসর্গের আক্রান্তদের উপর। ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে বড় কথা, আক্রান্তদের অক্সিজেন নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়েছে এই ওষুধ।
সুধীর জানিয়েছেন, এই ওষুধটি অনেকটা গ্লুকোজের মতো, জলে গুলে খেতে হয়। এটি শরীরে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসের প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে আনে। পাশাপাশি, ফুসফুসে এই ভাইরাসের কারণে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এই ওষুধ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। যে কারণে কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেনের উপর আক্রান্তের নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসে।
ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই ওষুধ তৈরির কাজ করছে ডিআরডিও। এই সংস্থার সঙ্গে ওষুধের উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আগামী একমাসের মধ্যে রোগীদের জন্য এই ওষুধ বাজারে চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।