নতুন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মূর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী অনুপজাতি সম্প্রদায়ের। তা-ই কি উপজাতি রাজ্যপাল নিযুক্ত করে আদিবাসী-প্রধান ঝাড়খণ্ডে সমতা রাখল শাসক বিজেপি?
রাজ্যের নবম রাজ্যপাল হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মূর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এমনই জল্পনা ছড়াল।
আজ সকাল দশটা ১০-এ ঝাড়খন্ডের প্রথম মহিলা উপজাতি রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদীদেবী। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বীরেন্দ্র সিংহ। ৫৬ বছর বয়সী দ্রৌপদীদেবী ওড়িশায় নবীন পটনায়ক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ময়ূরভঞ্জ কেন্দ্রে তিনি জয়ী হন।
বিধানসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা দখলের পর অনুপজাতি নেতা রঘুবর দাস মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। প্রথম বার এ রাজ্যে অনুপজাতি সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হন। বিরোধী শিবিরের একাংশের বক্তব্য, উপজাতি-অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে বিজেপি অনুপজাতি সম্প্রদায়কে প্রাধান্য দিতে চাইছে— সেই ধারণা যেন রাজ্যবাসীর মধ্যে না ছড়ায়, সে জন্যই উপজাতি রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখদেব ভগৎ বলছেন, ‘‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ। তাই কারও নিয়োগ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু বিজেপি যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করে।’’ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, ‘‘উপজাতি সম্প্রদায় থেকে রাজ্যপাল নিযুক্ত হওয়ায় তাঁদের সমস্যা আরও বেশি করে মেটানো সম্ভব হবে।’’
এ দিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মহুয়া মাঁজি। ছিলেন দ্রৌপদীদেবীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর মেয়ে ইতিশ্রীদেবী বলেন, ‘‘ময়ুরভঞ্জে খুশির হাওয়া বইছে। আশা করি, মা ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।’’